
নীলফামারীর তিনটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ঝড়ে গাছ ও ঘরবাড়ির চাপায় এ পর্যন্ত সাতজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১০ মে) রাত সোয়া ৯টা থেকে আধা ঘণ্টাব্যাপী এই ঝড় স্থায়ী হয়।
নিহতরা হলেন- ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি গ্রামের খোদেজা বেগম (৪০), মৌজা গোমনাতী গ্রামের আব্দুল গনি (৪০) খানপাড়া গ্রামের জমিরুল ইসলাম (১২), জলঢাকা উপজেলার পূর্ব শিমুলবাড়ি গ্রামের আশিকুর রহমান (২২), ধর্মপাল খুচিমাদা গ্রামের সুমাইয়া আক্তার (২৭) ও তার তিন মাসের শিশু কন্যা পরীমনি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম শুক্রবার (১১ মে) সকালে ঝড়ে নিহত ৭ জনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে।
অপরদিকে, কালবৈশাখীর ঝড়ে জেলার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি, আমবাড়ী, গোমনাতি, বামুনিয়া, ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া, ডিমলা সদর, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানি, জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল, মীরগঞ্জহাট, শিমুলবাড়ীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ওই সব এলাকার বিদ্যুতের সংযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়।
এছাড়া বিভিন্ন সড়কে ভেঙে পড়া বড় বড় গাছপালা অপসারনে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন রাতদিন কাজ করছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানায়, উঠতি বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন।