বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টির সিলেট জেলা ও মহানগর কমিটির কর্মী সভা শনিবার (১৯ অক্টোবর) সিলেটের সোনাতলাস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেট জেলার সভাপতি হুমায়ুন রসিদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাদের। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক হারুন অর রশিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কো-চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম খান, পারভীন নাসের ভাসানী, প্রেসিডিয়াম মেম্বার মাহফুজা বেগম, শওকত হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান ড. বজলুর রহমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দা রিফাত সুলতানা, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিন্সিপাল আফজাল সাদিক। কর্মীসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক দিনাজুর রহমান মিনহাজ, সিলেট মহানগর এর সভাপতি মোঃ জামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বেলাল আহমেদ সহ সিলেট জেলা, মহানগর ও জালালাবাদ উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাদের বলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে স্বৈরশাসক এর পতন ঘটেছে। ১৯৯০ সালে একবার স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটেছিলো আর ২০২৪ সালে হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে। নতুন বাংলাদেশে জনগণ আশা করেছিলো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য হ্রাস হবে, সুশাসন নিশ্চিত হবে, বিচার বিভাগ স্বাধীন হবে, জনগন সুবিচার পাবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আকাশ ছোঁয়া, মব জাস্টিসের নামে শিক্ষকদের লাঞ্চিত করা হচ্ছে, মানুষকে পিটিয়ে মারা হচ্ছে, কল কারখানা পুরিয়ে দেয়া হচ্ছে, আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা শোচনীয়! ড. ইউনূসের সরকার জনগণের জানমালের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে, খাদ্য দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, শেয়ারবাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে আর উনারা রিসেট বাটন চাপ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টায় ব্যস্ত, তারা জাতীয় দিবস পরিবর্তন করায় ব্যস্ত!! আপনাদের কে দায়িত্ব দিয়েছে নতুন ইতিহাস লিখতে? ইতিহাস লেখা লাগে না, ইতিহাস মোছা লাগে না, ইতিহাস নিজস্ব গতিতে তার অবস্থান ধরে রাখে বছরের পর বছর। জনগণকে সুরক্ষা দিতে না পারলে, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে, আপনাদের মূল কাজটা করেন, নির্বাচন দেন। নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
ভারত বিরোধিতা করে রাস্তায় স্লোগান দেন আর তলে তলে ইলিশ পাঠান, মরিচ আনেন, পেঁয়াজ আনেন! এসব বাদ দেন। জনগণ বুঝে গেছে আপনাদের দিয়ে জনগণের কোন উপকার হবে না। অবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। আর বাংলাদেশ কারও দাসত্ব মেনে নেবে না। বৃটিশদের দাসত্ব মেনে নেয়নি, পাকিস্তানের দাসত্ব মেনে নেয়নি, ভারতের দাসত্ব মেনে নেবে না আর আমেরিকার দাসত্বও মেনে নেবে না। অতএব সাবধান কোন ষড়যন্ত্র এদেশের মানুষ মেনে নেবে না। আমাদের দূর্ভাগ্য স্বাধীন বাংলাদেশে কুখ্যাত খুনি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। জনগণ সব দেখছে, হাসিনা সরকারকে যেভাবে বিদায় করেছে আপনারা ব্যর্থ হলে আপনাদেরকেও বিদায় করতে সময় নিবে না।