বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, আওয়ামী লীগের অপশাসনের কারণে দেশের শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে কষ্টে আছে। নিত্যপণ্যের মূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, বার বার তেল-গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের সাধারণ মানুষের ন্যায় শ্রমজীবীরাও ভালো নেই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আর কিছুদিন ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষকে বাঁচতে দেবে না। তাই শুধু বিএনপির নেতাকর্মীরা নয়, শ্রমজীবী মানুষ ও সর্বস্তরের জনগণকে এই সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে।
সোমবার (০১ মে) দুপুরে নগরীর আম্বরখানা পয়েন্টে সিলেট জেলা ও মহানগর শ্রমিক দলের উদ্যোগে মহান মে দিবস উপলক্ষে র্যালি পরবর্তী সংক্ষিপ্ত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। র্যালিটি নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আম্বরখানা পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়।
সিলেট জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সুরমান আলীর সভাপতিত্বে, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ও মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জীবনের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মহানগর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের ফলে দেশের সাধারণ মানুষের ন্যায় শ্রমজীবীরাও অতিষ্ঠ। দেশে সর্বস্থরের মানুষ এখন বিএনপির ১০ দফা দাবীর প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে। তাই আওয়ামী লীগের বিদায় সুনিশ্চিত।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের লাগামহীন লুটপাটের কারণে দেশ আজ তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে। ফলে দেশের শ্রমজীবী ভাইবোনেরা পরিবার নিয়ে দু’বেলা পেটভারে খেতে পারে না।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের নামে জনগণের সাথে তামাশা করছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিয়ে বিএনপির চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে চায়। আমরা বিশ্বাস করি বিএনপির কোন নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের পাতানো ফাঁদে পা দেবে না। দলের কোন নেতা বা কর্মী এই সরকারের অধিনে প্রহসনের নির্বাচনে অংশ নিলে তা বরদাস্ত করা হবে না।
সমাবেশে সিলেট জেলা ও মাহানগর বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, শ্রমিকদল সহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।