চলতি বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। আর জানুয়ারির শুরুতে ভোটগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের শ্রীপুরে স্মার্টকার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ইসি আনিছুর রহমান বলেন, নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। আর জানুয়ারির শুরুতে ভোটগ্রহণ করা হবে। জানুয়ারির ২৯ তারিখের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এবার সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন সকালে ব্যালট পেপার কেন্দ্রে যাবে। গত এক বছর সাত মাসে হাজার খানেক নির্বাচন করেছি। সিসি ক্যামেরা ছিল। সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা নাও থাকতে পারে। তবে নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় অ্যাপস তৈরি হচ্ছে। অ্যাপসে ভোট কাস্টিং ঘণ্টায় ঘণ্টায় জানা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের আগ্রহ থাকতে হবে। জোর করে কাউকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানো যাবে না। কেউ নির্বাচনে না এলে সেই দায়িত্ব আমাদের না। তবে সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানাই। আমরা আশা করি সব দল এতে অংশগ্রহণ করবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এরপর বেশ কয়েকটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু ভোট হবে না দাবি করে সব নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়রি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। সেক্ষেত্রে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে পরের বছর জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে আগামী সংসদ নির্বাচন শেষ করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির। কিন্তু বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো সরকারের পদত্যাগ ছাড়া নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার দাবিতে অনড় অবস্থানে আছেন। অন্যদিকে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে আয়োজনে অনড় অবস্থানে আওয়ামী লীগও।