বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সিলেট নগরীর বন্যা পরিস্থিতির আরও কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে কিছু কিছু ওয়ার্ডে এখনো পানি রয়েছে। সেসব এলাকা সহ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে এখনো ত্রাণ সেবা অব্যাহত রেখেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, মঙ্গলবার (০৪ জুন) দুপুর ৩টা পর্যন্ত ৩০.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টা টানা বর্ষণ না হলে সুরমা নদীর পানি আরও কমে যাবে। সোমবার সিলেটে ২১৪ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়েছিল।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলররা জানান, সিসিকের বেশির ভাগ এলাকায় পানি কমতে শুরু করেছে। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেওয়া মানুষ অনেকেই নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। তবে সিসিকের পক্ষ থেকে এখনো আশ্রয় কেন্দ্রগুলো রান্না করা খাবার সহ বিভিন্ন ওষুধ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেবার পর থেকে সিলেট মহানগরীর মির্জাজাঙ্গাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেররতন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উমরশাহ স্কুল, ইউসেফ ঘাসিটুলা স্কুল, জালালাবাদ মডেল স্কুল, মইন উদ্দিন মহিলা কলেজ, কানিশাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘাসিটুলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রেলওয়ে কলোনী স্কুল, সমাজ সেবা স্কুল, সোনারপাড়ায় একটি, কিশোরি মোহন, সওদাগর মিয়ার ২৯ বাসা, রামকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়, কাউন্সিলর তুহিনের তত্তাবধানে ১ টি ঝালোপাড়া মসজিদ বাজারে আশ্রয় কেন্দ্র,কাউন্সিলর সুহিনের বাড়িতে স্থাপন করা হয়। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নিয়মিত খাবর ও ওষুধ সামগ্রী বিতরণ করে সিটি কর্পোরেশন।
সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর জানান, সিলেট মহানগরীর প্রায় ২৮টি ওয়ার্ডে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়। স্থানীয় কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে বেশ কয়টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়। সেখানে নিয়মিত রান্না করা খাবার ও ওষুধ সামগ্রী প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর থেকে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশে ব্যাপক কর্মতৎপর ছিলো সিসিক কতৃর্পক্ষ। ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. মখলিছুর রহমান কামরান সহ স্থানীয় কাউন্সিলর ও বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কর্মতৎপরতা চালায়। বিদ্যুৎ কেন্দ্র রক্ষায় বস্তা দিয়ে বাঁধ নির্মাণ সহ বন্যায় আক্রান্তদের মাঝে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, রান্না করা খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ওষুধ সামগ্রী বিতরণ করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।