সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ট্রলারের ইঞ্জিনে শাড়ি পেঁচিয়ে কোহিনূর আক্তার নামের এক কিশোরীর (১৬) মৃত্যু হয়েছে। কোহিনূর আক্তার জামালগঞ্জ উপজেলার কালিপুর গ্রামের শামসু মিয়ার মেয়ে।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকালে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সদর ইউনিয়নের শয়তানখালী খালে ট্রলারের ইঞ্জিনে শাড়ি পেঁচিয়ে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছিল।
ছোটবেলায় কোহিনূর আক্তারের বাবা মা আলাদা হয়ে যায়। তখন কোহিনূরের মা কোহিনূরকে ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের সোনাজানা গ্রামে তার ভাই শাহজাহান মিয়ার কাছে রেখে কাজের সন্ধানে ঢাকায় চলে যান। কোহিনূর তার মামা শাহজাহান মিয়ার কাছেই বেড়ে ওঠে। শুক্রবার সোনাজানা গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলের সাথে পার্শ্ববর্তী হলিদাকান্দা গ্রামের এক কনের বিয়ের দিন ধার্য ছিল। এ উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার শাহীনের পরিবারের পক্ষ থেকে কনের বাড়িতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শাহজাহান মিয়ার ট্রলারে করে কোহিনূরসহ অন্যরা রওনা দেয়। কোহিনূর ট্রলারের ইঞ্জিনের কাছাকাছি বসায় ইঞ্জিনের বিকট শব্দে তার খারাপ লাগছিল। তাই সে জায়গা পরিবর্তন করতে গেলে ইঞ্জিনে তার শাড়ির আচল আটকে যায়। ইঞ্জিন বন্ধ করতে করতে কোহিনূর মারাত্মকভাবে আহত হয়। পরে তাকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা। কিন্তু শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি।’