সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় প্রায় সাড়ে ৩০ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ির চালান জব্দ করেছে পুলিশ। এসময় চারজনকে আটক ও দুটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
সোমবার (১৩ মার্চ) ভোরে ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া নামক এলাকা থেকে এ চালান জব্দ করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ চালান নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়নের কানুহারী গ্রামের আ. রশিদের ছেলে মুরাদ চৌধুরীর।
নেত্রকোনা জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি মুরাদ চৌধুরী দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার ধর্মপাশা গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় শ্বশুর মৃত কুতুব উদ্দিনের বাড়িতে বসবাস করছেন। পাশাপাশি ধর্মপাশা বাজারে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবসা পরিচালনা করেন। হঠাৎ করে তিনি অনেক সম্পদের মালিক হয়েছেনবলে জানা গেছে।
সোমবার ভোরে ওই চালান জব্দ হলে তার অবৈধ চোরাচালান ব্যবসার বিষয়টি সামনে আসে। কংস নদের পাড় ঘেষে মুরাদের শ্বশুরবাড়ি অবস্থিত হওয়ায় নদীপথে ভারতীয় পণ্য সহজেই তার গুদামে নিয়ে আসতেন এবং তা গভীর রাতে অন্যত্র পাচার করতেন। স্থানীয়রা এতদিন ভেবেছিলেন নৌপথে কুরিয়ার সার্ভিসের পার্সেল আসে। কিন্তু মুরাদ তার শ্যালক শাহ আলমকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এ চোরাচালানি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।
সোমবার ভোরে মুরাদের গুদাম থেকে দুটি পিকআপ ভ্যানে ৮২টি বস্তায় করে ৩০ লাখ ৪৩ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের ১,৬৯১টি শাড়ির চালান গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিশ খবর পেয়ে ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে ধর্মপাশা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার ত্রিমুখী মোড়ে এসে শাড়ি ও পিকআপ ভ্যান জব্দ করে।
এসময় পিকআপ ভ্যানে থাকা টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার বড়চওনা গ্রামের সামছুল হকের ছেলে জাহিদ (২৩), সুরত আলীর ছেলে সাব্বির মিয়া (১৬), আজহার মিয়ার ছেলে রায়হান (১৭) ও হামিদপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে নাজমুলকে (২২) আটক করা হয়।
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আটক চারজনসহ মুরাদ চৌধুরী ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ধর্মপাশা থানায় মামলা হয়েছে।