সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা সদর বাজারের আওয়ামী লীগ অফিস সংলগ্ন শয়তানখালী খালের উপর সেতুটি দেবে যায় ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে। পরে সেতুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ওই সেতুর উত্তরপাশে একটি বাঁশের চাটাই দিয়ে পথচারীদের পারাপারের ব্যবস্থা করেছিল প্রশাসন।
শনিবার ভোরে পানির তোড়ে বাঁশের চাটাই ভেসে যায়। ফলে দেবে যাওয়া সেতু দিয়েই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার পথচারীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে। তবুও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিকল্প চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণ ও দেবে যাওয়া সেতু এলাকা দেখতেও আসেননি। ফলে মধ্যবাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে সেতুটি দেবে যেতে শুরু করলে স্থানীয় প্রশাসন পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সেতুটির ওপর দিয়ে পথচারী ও যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পথচারীদের চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পরিত্যক্ত সেতুর উত্তরপাশে বাঁঁশের চাটাই দিয়ে পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়। সেতুর টেন্ডার প্রক্রিয়া ও ঠিকাদার নিয়োগে দীর্ঘসূত্রীতা এবং স্থায়ীত্বশীল বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে না তোলার কারণে সৃষ্টি হয় সীমাহীন দুর্ভোগের।
গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে শয়তানখালী খালে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানির তোড়ে চাটাই ভেসে যায়। ফলে এ সেতুই কান্দাপাড়া, মহদিপুর, মেউহারী, ঘুলুয়া, রাজাপুর, হলিদাকান্দা, আবুয়ারচর, মহিষের বাতান, নোয়াবন্দ, কামলাবাজ, ফাতেমানগর, লংকাপাথারিয়া, ভাটকপুরসহ ১৫/২০টি গ্রামের মানুষের সদর বাজারে চলাচলের একমাত্র ভরসা। এ সেতুর কারণে পশ্চিমবাজারে ব্যবসা বাণিজ্যে ভাটা পড়েছে।
পথচারী ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ‘কোনো উপায় না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজ পার হয়েছি। আমাদের দুর্ভোগ দেখার যেন কেউ নেই।’
মধ্যবাজারের ব্যবসায়ী লিটন চন্দ্র সরকার বলেন, ‘এমন দুর্ভোগ আর মেনে নিতে পারছি না। প্রাণহানী ঘটলেই বোধহয় কর্তৃপক্ষ সজাগ হবে।’
উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহাবউদ্দিন মুঠোফোন রিসিভি না করায় বক্তব্য জানা যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, পারাপারের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা হয়েছে। দুয়েকদিনের মধ্যে তা বাস্তবায়ন হবে।