সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় নিখোঁজের ৪দিন পর আঁখি মনি (২০) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ঘুলুয়া গ্রাম সংলগ্ন কংশ নদ থেকে এ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আঁখি মনি ঘুলুয়া গ্রামের ছোয়াব আলীর ছেলে বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী ও নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের আয়নাল হকের মেয়ে। এ ঘটনায় স্বামী বিল্লালকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, এক বছর আগে আঁখি ও বিল্লালের বিয়ে হয়েছিল। গত রবিবার সকালে স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় আঁখি। এর পরদিন আঁখির বাবা আয়নাল হক ধর্মপাশা থানায় এ ব্যাপারে সাধারণ ডায়েরি করেন। সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ জানুয়ারি আঁখি স্বামীকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। এর ৩ দিন পর সেখান থেকে ফেরত আসার আগে স্বামীর সাথে কথা কাটাকাটি হয় আঁখির। এতে আঁখির ছোট ভাই মেহেদী হাসান বাধা দিলে আঁখিকে গুম করার হুমকি দেয় বিল্লাল। ওইদিনই আঁখি স্বামীর বাড়িতে ফেরত আসে। কিন্তু গত রবিবার সকালে বিল্লাল আঁখির পরিবারে ফোন করে আঁখিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানায়। এরপর দিন আঁখির বাবা জয়নাল হক বিল্লালের বিরুদ্ধে আঁখিকে জীবিত বা হত্যা করে কোথাও নিখোঁজ করেছে মর্মে
ধর্মপাশা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
এদিকে বুধবার সকালে বিল্লালের বাড়ির অদূরে কংশ নদে স্থানীয়রা আঁখির লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে সকাল ১১টার দিকে পুলিশ আঁখির মরদেহ উদ্ধার করে।
গৃহবধূর বাবা জয়নাল হক বলেন, বিল্লাল আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই।
বিল্লালের বাবা ছোয়াব আলী বলেন, কীভাবে কি ঘটেছে আমরা জানিনা। নিখোঁজ হওয়ার পর আমরা আঁখিকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি।
ধর্মপাশা থানার ওসি শামছুদোহা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী বিল্লালকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।