সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ইকবালের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা ধার নিয়ে ফেরত না দেয়ার অভিযোগ করেছেন এক গৃহবধু।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার বাদশাগঞ্জ বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন গৃহবধু বিউটি আক্তার।
পাইকুরাটি গ্রামের মৃত হাদিস মিয়ার মেয়ে ও ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার খালিদ হাসান ইমনের স্ত্রী বিউটি আক্তার জানান, মোজাম্মেল হক ইকবাল সম্পর্কে তার খালু। যার সুবাদে ইকবাল তার সাময়িক অসুবিধা দেখিয়ে বিউটির কাছে ১৫ লাখ টাকা ধার চান। গত বছরের ৯ ডিসেম্বর ইকবাল বিউটির ছোট ভাই স্বপনকে নিয়ে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার বাসায় যান এবং ১০০ টাকা মূল্যের তিনটি নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র দলিল সম্পাদন করে ১৫ লাখ টাকা নেন। এর মধ্যে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে বিউটিকে সুনই জলমহালের ব্যবসায়ীক অংশীদার বানানো ও ১১ লাখ টাকা এক মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইতোমধ্যে ২ মাস সময় পার হলেও ইকবাল বিউটিকে জলমহালের অংশীদার করেননি এবং কোনো টাকা ফেরত দেননি।
গৃহবধূ বিউটি আক্তার বলেন, চেয়ারম্যান যে আমার বাসায় টাকা আনতে গিয়েছিলেন তার ভিডিও আছে। আমাকে জলমহালের অংশ দেওয়াতো দূরের কথা এখন টাকা নেওয়ার কথাও স্বীকার করছেন না। তিনি লোক মারফত স্ট্যাম্পগুলো আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ইকবাল বলেন, ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর আমার সিল ও স্বাক্ষর দেওয়া স্ট্যাম্পগুলো হারিয়ে যায়। পরে আমি এ বছরের ২৭ জানুয়ারি থানায় জিডি করেছি। আমি বিউটির কাছে যে টাকা পাবো তা আনতে তার বাসায় গিয়েছিলাম। আমার পাওনা টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্য এখন মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে।