দোয়ারায় পুলিশের হাত থেকে হাতকড়াসহ আসামি ছিনতাই!

দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের হাত থেকে হাতকড়া পরা অবস্থায় আটককৃত একজনকে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে আজমপুর গ্রামের ইলিয়াছ আলীর পুত্র আম্বির আলী দোয়ারাবাজার বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে খেয়াঘাটে পৌছান। এসময় পূর্ব শত্রুতার জেরে একই গ্রামের ইউপি সদস্য ফরহাদ আলমের পুত্র এডভোকেট কানন আলম ও ইতালি প্রবাসি তুর্জ আলম ও তাদের আরেক ভাই কমল আলম তিনজন মিলে আম্বির আলীর উপর ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে তাকে গাড়িতে তোলে সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কাটাখালি বাজারে পৌছার আগেই এলাকার লোকজন কাটাখালি বাজারের পাশে সড়কে জড়ো হয়। পরে কৌশল অবলম্বন করে কাটাখালি বাজারে আরজু মিয়ার ফার্মেসিতে আম্বির আলীকে চিকিৎসা করায় এডভোকেট কানন আলম। চিকিৎসা শেষে আবার আম্বির আলীকে নিয়ে সুনামগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় তারা।

খবর পেয়ে এসআই মিজানুর রহমান ও এএসআই নুমান কাটাখালি বাজারে পৌছান। এসময় পুলিশ তাদের হাত থেকে আম্বির আলীকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে আসলে ফরহাদ আলমের লোকজন উত্তপ্ত হয়ে উঠে।

পরিস্থিতি শান্ত করতে তুর্জ আলম ও তার ভাই কমল আলমকে আটক করেন দোয়ারাবাজার থানার এস আই মিজানুর রহমান। পরে ফরহাদ আলমের লোকজন ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর হামলা করে আটককৃত দুইজনকে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে অনেক চেষ্টার পর সুনামগঞ্জ সদরের এডভোকেট কাউছার আলমের বাসা থেকে হাতকড়া উদ্ধার করা হয়।

যদিও হাতকড়া ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন দোয়ারাবাজার থানার এস আই মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা তাদেরকে হাতকড়া পরাতে পারিনি। হাতকড়া পরানো হলে ছিনিয়ে নিতে পারতো না।’

এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ দেব দুলাল ধর বলেন, হাতকড়াটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আসামিদের গ্রেফতার করা যায়নি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।