দোয়ারাবাজারে গরু চুরির মামলায় জাবেদ মিয়া (৩০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত যুবক উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের শরীপপুর গ্রামের আব্দুস ছোবান প্রকাশ বক্কু মিয়ার পুত্র।
জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় বোগলাবাজার থেকে ব্যাবসায়ীরা গরু ক্রয় করে নেত্রকোনা নিয়ে যাবার জন্য সুরমা নদীর পাড়ে নিয়ে আসছিল। বোগলাবাজার এলাকা থেকে গরু নিয়ে সড়ক পথে উপজেলার সাইডিং ঘাটে আসার আগেই সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের পাশে আসামাত্র ৮/১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্র রাখালের কাছ থেকে চারটি গরু ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। রাখাল দুইজনের দুটি মোবাইল ফোনও নিয়ে যায় তারা। দ্রুত এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
রাত আড়াইটার সময় উপজেলার সদর ইউনিয়নের টেবলাইবাজারে ট্রাকে তোলার জন্য নিয়ে আসলে মালিক পক্ষ সামনে আসামাত্র চোর চক্র পলিয়ে যায়। পরে গরু চারটি উদ্ধার করে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশে কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পরেরদিন রবিবার বিকেলে নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ থানার কাজীহাট গ্রামের মৃত রাশেদ মিয়ার পুত্র আলম মিয়া বাদি হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে দোয়ারাবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে চোর চক্রের একজনকে গ্রেপ্তার করে দোয়ারাবাজার থানার পুলিশ।
গরু চুরি মামলার বাকি পলাতক আসামীরা হলো সদর ইউনিয়নের পূর্ব মাছিমপুর গ্রামের আমরু মিয়ার পুত্র শামীম আহমদ (৩০), রায়নগর গ্রামের নুরুল আমিনের পুত্র ইমরান হোসেন (৩২), সুরমা ইউনিয়নের মোবারক নগর গ্রামের আলী আমজাদের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), শরীফপুর গ্রামের সাহানুর মিয়ার পুত্র রুয়েল মিয়া (২৮), সৈয়দ হোসেনের পুত্র সুমন মিয়া (২৬), এখলাছ মিয়ার পুত্র তানজিদ মিয়া (৩০)সহ অজ্ঞাত আরো ৩ জন।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল হাসান জানান, আব্দুস ছোবান ওরফে বক্কু মিয়ার পুত্র জাবেদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি পলাতক আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।