চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুরে কাপড়ের দোকানে দর কষাকষিকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে ছুরিকাঘাতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার ভালাইপুর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে সজল আলী ও আজিজুল হকের ছেলে এনজিও কর্মী মামুন অর রশিদ।
ভালাইপুর গ্রামের বাসিন্দা টিপু মিয়া বলেন, ‘বিকেলে আমার মা সাবিনা খাতুন ভালাইপুর মোড়ে আশাবুল গার্মেন্টস ও বস্ত্রালয়ে কাপড় কিনতে যান। কাপড়ের দাম জিজ্ঞাসা করলে কর্মচারী ইমন ৮২ টাকা দাম চায়। মা ৮০ টাকায় কাপড়টি চাইলে বিষয়টি নিয়ে ওই কর্মচারীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়।
‘এক পর্যায়ে কাপড় পরিমাপের স্কেল দিয়ে আমার মাকে আঘাত করে ইমন। পরে মাকে গালিগালাজ করে দোকান থেকে বের করে দেয় সে। পরে সবার উপস্থিতিতে বিষয়টির মিমাংসা হয়।’
আরও পড়ুন : যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গুলি করে হত্যা
টিপু মিয়া বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আমিসহ আমার বন্ধু মামুন ও সজল ভালাইপুর বাজারে চা পান করতে যাই। এ সময় আশাবুলের দোকানের কর্মচারী ইমন, সানোয়ার ও আকাশসহ কয়েকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত জখম হয় সজল ও মামুন। তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সজল।’
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক হাসানুর রহমান জানান, জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সজল। মামুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। তবে সেখানে নেয়ার আগেই সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, নিহতদের মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।