জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ কৃষিবান্ধব দেশ। দেশের প্রধান চালিকাশক্তি হচ্ছে কৃষি। কৃষিবান্ধব সরকার কৃষকের উন্নয়নের জন্য নানা পদক্ষেপে গ্রহণ করেছে। কৃষিকে আধুনিকায়ন করতে আমরা কৃষি যান্ত্রিকীকরণের কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আমাদের দেশে কৃষি খাতকে আধুনিকভাবে আরও শক্তিশালী করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। জমি সেচ থেকে শুরু করে ধান গোলায় তুলে নিতে ৭০ ভাগ ভর্তুকি দিয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতি কৃষকদের হাতে তুলে দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেটের বিশ্বনাথে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা করার লক্ষ্যে কৃষকদের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বনাথ উপজেলায় কৃষিকে আরও এগিয়ে নিতে এবং সেচ ব্যবস্থা সহজতর করতে শেলো পাম্প বা ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করা হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে দেশের কিষাণ-কিষাণীদের পরিশ্রম সার্থক করতে সরকার আপনাদের পাশে আছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহানের সভাপতিত্বে এবং কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায়ের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক আহমদ, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, লামাকাজী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া, পল্লী বিদ্যুৎ বিশ্বনাথ জোনাল অফিসের ডিজিএম ছাইফুল ইসলাম, বিএডিসির উপ-সহকারী পরিচালক প্রতাপ রঞ্জন পাল, কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আরিফ ফেরদৌস, রামপাশা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কামরান আহমদ, জাতীয় বঙ্গবন্ধু কৃষি পদকপ্রাপ্ত জাবের হোসেন, কৃষক মাসুক আলী, নাহিদুজ্জামান, লুৎফুর রহমান, কৃষানী কৃষ্ণা রানী বৈদ্য ও ফুলবি বেগম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলার সহকারী কমিশনার সাদিয়া বিনতে সোলায়মান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা জাহান সরকার, থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম, রামপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর, অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রোহেল, খাজাঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ আলী গনি, দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল আমিন আজাদ ও দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমাদ খান। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফিজ মুক্তার আহমদ ও গীতাপাঠ করেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নিরঞ্জন দাস।
এর আগে উপজেলার প্রাচীন বিদ্যাপীঠ রামসুন্দর হাইস্কুল এবং হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক।