ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, ঐতিহাসিক সম্পর্কের পথ ধরে দুই দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।
শনিবার (১১ জুন) সিলেট নগরের ধোপাদিঘির পাড়ে ‘বিউটিফিকেশন অব ধোপাদিঘি’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
দিঘিটি সংরক্ষণ ও সৌন্দর্য্যবর্ধনের লক্ষ্যে ভারত সরকারের অর্থায়নে ‘বিউটিফিকেশন অব ধোপাদিঘি’ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। প্রকল্পের অধীনে দিঘি খনন, চারপাশে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ, রেলিং ও লাইটপোস্ট বসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়।
প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে ২০১৮ সালের শেষদিকে ধোপাদিঘি দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালায় সিটি করপোরেশন। ২০২০ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে কাজে ধীরগতি দেখা দেয়। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুরোদমে শুরু হয় প্রকল্পের কাজ। প্রকল্পে ভারত সরকার ২১ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা অর্থায়ন করে।
শনিবার ধোপাদিঘির পাড়ে ‘বিউটিফিকেশন অব ধোপাদিঘি’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক বিশ্বাস ও পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে।
তিনি আরও বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্ধিত এলাকার উন্নয়নের জন্য একটা বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ বিষয়ে আমি আপনাদের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে কথা বলব। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট মেরামতে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, ভারতের আন্তর্জাতিক মহাসড়কে যুক্ত হবে বাংলাদেশ। এতে গতি বাড়বে আঞ্চলিক যোগাযোগে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন, ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন।