দিল্লিতে হাসিনা-মমতা বৈঠকের সম্ভাবনা!

দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা হতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। জি-টোয়েন্টি সম্মেলন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে দুজনের মধ্যে আলাদা করে বৈঠকেরও সম্ভাবনা আছে।

আগামী শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর প্রগতি ময়দান কমপ্লেক্সের ‘ভারত মন্ডপমে’ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে আগত বিশ্বনেতা ও দেশের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের যে নৈশভোজে আপ্যায়িত করছেন, সেখানেই দুজনের সাক্ষাৎ হবে।

জি-টোয়েন্টিতে বিশেষ আমন্ত্রিত হিসেবে শেখ হাসিনা দিল্লিতে থাকার কথা আগে থেকেই নিশ্চিত ছিলো, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মকর্তারা আজ বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ গ্রহণ করে দিল্লিতে সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের কূটনৈতিক সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, দিল্লিতে শেখ হাসিনা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ বৈঠক যদি সম্ভব না-ও হয়, আলাদা করে দুজনে যাতে কথাবার্তা বলতে পারেন সেই চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সরকারের তরফে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে তাদের পক্ষ থেকে তিস্তা চুক্তির প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হবে। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার আলাদা করে কথা হলে সেখানেও তিস্তা প্রসঙ্গ উঠবে অবধারিতভাবে। কারণ, এ কথা সবারই জানা যে মূলত পশ্চিমবঙ্গের বাধাতেই খসড়া প্রস্তুত হওয়ার প্রায় এক যুগ পরেও আজ পর্যন্ত তিস্তা চুক্তি সম্পাদন করা সম্ভব হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনার আগের দুটি দিল্লি সফরে (অক্টোবর ২০১৯ ও সেপ্টেম্বর ২০২২) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হয় নি।

শেখ হাসিনা ও মমতা ব্যানার্জির মধ্যে শেষবার দেখা হয় ২০১৯-এর নভেম্বরে, যখন কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম গোলাপি বলের টেস্ট ম্যাচ উদ্বোধন করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে গিয়েছিলেন। তার ঠিক আগের বছরেও (২০১৮) দুজনের দেখা হয়েছিল শান্তিনিকেতনে, যখন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধন করতে শেখ হাসিনা সেখানে গিয়েছিলেন।