সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের টাংনীর হাওর রক্ষাবাঁধের (জুগডোবা বিল) ২৭, ২৮,২৯ ও ৩০ নং পিআইসির কাজে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। এ নিয়ে হাওর পাড়ের কৃষকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। সময় মতো বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করছেন কৃষকরা।
এদিকে এমন অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের ভাটিধল গ্রামের আয়োজনে এ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন উক্ত ইউনিয়নের ৫ গ্রামের স্থানীয় কৃষক।
মানববন্ধনে এলাকাবাসি অভিযোগ করেন, প্রকৃত কৃষকদের বাদ দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অদক্ষ ব্যক্তিদের কমিটিতে যুক্ত করা হয়েছে। ২৭ ও ২৮ নং পিআইসি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমদের পকেট কমিটির লোকজন দিয়ে কাজ করা হয়েছে।
মানববন্ধনে কৃষির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভাটিধল গ্রামের কৃষক জাবেদ মিয়া, আব্দুল হাই, একলাছুর রহমান, অজুদ মিয়া, দীপক, কৃপেশ রঞ্জন বুলুসহ এলাকাবাসি জানান, ‘তাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ২৭ ও ২৮ নং (পি’আইসি) হাওররক্ষা বাঁধের কাজ টেকসই করার। কিন্ত হঠাৎ এক অদৃশ্য কারণে ইউপি চেয়ারম্যান আলি আহমদ ও এসও মোনায়েম হোসেনের যুগসাজসে বাঁধের পাশে থাকা ইউপি চেয়ারম্যানের বিল রক্ষার জন্য মূল বাদের কাজ না করে পাশে থাকা ওই বিলের প্রায় দেড় কিলোমিটার বাঁধের কাজে নতুন করে পিআইসি কমিটি গঠন এবং বড় অংকের অর্থ বাণিজ্যের প্রস্তুতি চলছে।
এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ওই কাজের জন্য ১৪ লাখ টাকাই যথেষ্ট। অহেতুক বাজেট বাড়িয়ে কাজ করলে একদিকে সরকারের টাকার অপচয়, অন্যদিকে হাওরে থাকা প্রায় ২০০ একর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানান তারা।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, জমির উদ্দিন, আব্দুল হাই, মঈন উদ্দিন, আলেক মিয়া, আব্দুল মালিকসহ স্থানীয় কৃষক ও এলাকাবাসি।