সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নে ধলুয়া গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শওকত আকবর নামে একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১২ জন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সংঘর্ষে নিহত শওকত আকবর, ইউসুফ আলী, আনোয়ার হোসেন গ্রুপ ও তৈয়ব আলী, মনির উদ্দিন, উসমান গনির গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। নির্বাচনের পরদিন দুই পক্ষের শিশুদের খেলাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়। এতে উভয় পক্ষই থানায় অভিযোগ দেন। তবে তৈয়ব আলী গ্রুপের মামলা আমলে নিলেও শওকত আকবর গ্রুপের মামলা আমলে নেওয়া হয়নি।
নিহত শওকত আকবরের ছোট ভাই লিয়াকত হোসেনের দাবী থানা পুলিশ উভয় পক্ষের মামলা আমলে নিলে আজ এই সংঘর্ষ ঘটতো না।
তিনি জানান, এই মামলায় আমাদের লোকজন সুনামগঞ্জ আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তৈয়ব আলী, মনির উদ্দিন, উসমান গনির লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা আমার বড় ভাই শওকত আকবরকে ঘরে ঢুকে উপর্যপুরী ভাবে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া সংঘর্ষে ফয়েজ মিয়া (৩০),আল আমিন (৩৩), মিজানুর রহমান (২৪), আলী হোসেন (৩৫), ইলিয়াস মিয়া (২০) সহ গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১২ জন।
দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক পিন্টু কুমার দাস শওকত আকবরের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন এবং তাজ মিয়া (৪০) নামে একজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে, আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।