সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ডোবা থেকে ভাসমান অবস্থায় আলী উসমান হামজা (৭) নামে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সে উপজেলার নোয়াগাঁও (প্রকাশিত নতুন জগদল) গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছোট ছেলে।
সোমবার (১০ এপ্রিল) পার্শ্ববর্তী কাইতলা বাঁধ সংলগ্ন একটি ডোবায় ভাসমান অবস্থায় শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একই গ্রামের আব্দুস সাত্তার মিয়ার ছেলে মুজাহিদ ইসলামকে (১৪) আটক করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক মুজাহিদ পুলিশের কাছে শিশু আলী ওসমানকে খুনের ঘটনার কথা স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে। তবে কেন কিভাবে তাকে খুন করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
এ ঘটনায় এলাকার স্থানীয়দের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নতুন জগদল গ্রামের আনোয়ার মিয়ার ছোট ছেলে আলি ওসমান হামজা ও আব্দুস সত্তার মিয়ার ছেলে মো. মুজাহিদকে গত শনিবার থেকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। নিখোঁজের বিষয়টি মাইকে ঘোষণাও করা হয়েছিল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও হারানো সংবাদ প্রচার করা হয়। খোঁজাখুঁজির পর নিখোঁজ হওয়া মুজাহিদকে শনিবার রাতে ১২টার দিকে বাড়ির পাশে ফসলী জমি থেকে তার চাচা অস্বাভাবিক অবস্থায় পান। এর দুইদিন পর শিশু আলী ওসমানের ভাসমান লাশ পাওয়া যায়।
জানা গেছে, সোমবার সকাল ৯টা দিকে স্থানীয় লোকজন গ্রামের ডোবায় ভাসমান একটি লাশ দেখতে পেয়ে দিরাই থানা পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দিরাই সার্কেল জাহিদুল ইসলাম খান, ওসি (তদন্ত) আকরামসহ পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে দিরাই থানায় নিয়ে আসেন এবং ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদরে প্রেরণ করা হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ওসি (তদন্ত) আকরাম জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে মুজাহিদ খুনের বিষয়টি স্বীকার করলেও এখনোও তদন্ত চলছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দিরাই সার্কেল জাহিদুল ইসলাম খান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধারনা করা হচ্ছে আটককৃত কিশোর মুজাহিদ খুনের সাথে জড়িত রয়েছে। তবে শিশুসুলভ আচরণের সহিত আটক মুজাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদ হচ্ছে।
এ ঘটনায় শোকে কাতর উসমানের পিতা আনোয়ার হোসেন বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। কিছুই বলতে পারছেন না তিনি।
‘ঘাতক’ মুজাহিদের মা বাবা-মার সাথে কথা হলে তারা জানান, ‘আমরা তাকে খুনের বিষয়ে বারবার বলার পরও সে স্বীকার করেনি।’