তেহরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূতকে তলব

ইরানবিরোধী ব্যাপক প্রচারণা চালানোর অভিযোগে তেহরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে।

রোববার বিকালে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সাইমন শ্রেকলিফকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করেন এ মন্ত্রণালয়ের ইউরোপ বিভাগের মহাপরিচালক। খবর রয়টার্সের।

একই দিন নরওয়ের রাষ্ট্রদূতকেও তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ইরান। নরওয়ের পাল্টামেন্টের স্পিকার মাসুদ ঘারাহখানি ইরান সরকারের সমালোচনা করায় দেশটির রাষ্ট্রদূতকে ডেকে শতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

ইরানে হিজাব আইন অমান্য করার কারণে আটক তরুণী মাহসা আমিনির (২২) মৃত্যুর ঘটনায় যখন দেশবাসী শোকাহত এবং তারা ফরেনসিক তদন্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন, তখন রাজধানী তেহরানসহ ৮০ শহরে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।

প্রতিবাদকারীরা সরকারি-বেসরকারি সম্পদ ভাঙচুরসহ নানারকম নাশকতামূলক তৎপরতা চালিয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এবং ত্রাণকর্মীদের বহনকারী মাইক্রোবাসে হামলা চালিয়েছে। হামলায় এখন পর্যন্ত ৬১ অ্যাম্বুলেন্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং চিকিৎসক দলের বেশ কয়েক সদস্য আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

কিন্তু পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো বিশেষ করে লন্ডনভিত্তিক বিবিসিসহ অন্য নিউজ চ্যানেলগুলো বিক্ষোভকারীদের ধ্বংসাত্মক ও নাশকতামূলক তৎপরতা প্রচার না করে তাদের ‘বীর সংগ্রামী’ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে।

এসব চ্যানেলের উসকানিমূলক প্রচারণার কারণে ইরানের সাধারণ জনগণ বিভ্রান্তিতে পড়ছেন এবং বিশ্বব্যাপী ইরানের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ ব্যাপারে ইরানের তীব্র প্রতিবাদের কথা জানিয়ে দেন মহাপরিচালক।

তিনি বলেন, ব্রিটিশ চ্যানেলগুলোর তৎপরতাকে ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছে তেহরান। এ সময় ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ইরানের প্রতিবাদের কথা লন্ডনকে অবহিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।