সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের পাটলাই নদীপথে দীর্ঘ ৫ কিলোমিটার নৌজটের সৃষ্টি হয়েছে। নৌজটের কবলে পড়ে সুলেমানপুর বাজার থেকে বোয়ালমার এলাকা পর্যন্ত গত ১৫ দিন ধরে সব ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এতে শতাধিক কয়লা ও চুনাপাথর বহনকারী নৌযানের চালক ও শ্রমিকেরা পড়েছেন বিপাকে। অপরদিকে পরিবহন খরচ বাড়ার আশঙ্কায় লোকসানের মুখে পড়তে যাচ্ছেন এসব নৌযানের মালিক, কয়লা ও চুনাপাথর ব্যবসায়ীরা।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, সুলেমানপুর বাজারের দক্ষিণ-পশ্চিমে নদীটির ২০০ ফুট স্থান এস্কেভেটর দিয়ে খনন করলে দীর্ঘ এই নৌজট সহনীয় পর্যায়ে চলে আসতো। তাছাড়া বৃষ্টির সঙ্গে পাহাড়ি ঢল না হলে এ সমস্যা আরও দীর্ঘতর হয়। কিন্তু ২০ বছর ধরে নাব্যতা সংকটের সমস্যা নিরসনে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই।
জানা গেছে, প্রতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পাটলাই নদীতে নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। এ কারণে বছরের এই সময়টাতে যেন নিয়ম করে নৌজটের সৃষ্টি হয়। ভারত থেকে আমদানি করা কয়লা ও চুনাপাথর উপজেলার বড়ছড়া ও চারাগাঁও শুল্ক স্টেশন থেকে পাটলাই নদীপথে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবহন করা হয়ে থাকে। কিন্তু পাটলাই নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে বোয়ালমারা থেকে পুকুরার মুখ পর্যন্ত দীর্ঘ ৫ কিলোমিটার নদীপথে শতাধিক নৌযান আটকে থাকায় চরম দুর্ভোগ পড়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এ সমস্যা নিরসনে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, পাটলাই নদীপথে নাব্যতা সংকটের কারণে সৃষ্ট নৌজটে চালক, মালিক ও ব্যবসায়ীরা যেন কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনার মুখে না পড়েন এ বিষয়টিতে প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে।
পাটলাই নদীতে সৃষ্ট নৌজট পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক জানান, নদীর নাব্যতা সমস্যা নিরসনে হাওর এলাকায় স্থায়ীভাবে ড্রেজার বেইজ করা হবে। সেখানে লং বুম এস্কেভেটরসহ যাবতীয় আধুনিক খনন যন্ত্রপাতি থাকবে।