বৈশ্বিক সংকটের মাঝেও রপ্তানি আয়ে সুবাতাস বইছে। শুধু সুবাতাস বইছে তা-ই নয়, রেকর্ডের পর রেকর্ড হচ্ছে। গত নভেম্বর মাসে রপ্তানি খাতে রেকর্ড হয়েছিল। প্রথমবারের মতো কোনো মাসে রেকর্ড গড়ে রপ্তানি হয় ৫ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার। সেই রেকর্ড ভেঙে গেল এক মাস পরই। অর্থাৎ, সদ্য বিদায়ী ডিসেম্বর মাসে রপ্তানি আয়ে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ, যা ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি।
সোমবার (২ জানুয়ারি) প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। অবশ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে রয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ৫৪২ কোটি ১০ লাখ ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল সরকার। সেই হিসাবে, রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ কম। তবে সদ্যবিদায়ী ডিসেম্বর মাসের রপ্তানি রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে রপ্তানি আয়ে রেকর্ডের পর রেকর্ডে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন দেশের অর্থনীতিবিদ ও রপ্তানিকারকরা। তারা বলছেন, এই রপ্তানি আয়ের উল্লম্ফনের ওপর ভর করেই ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশের অর্থনীতি।
ইপিবির তথ্যমতে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে ৫৩৬ কোটি ৫১ লাখ ৯০ হাজার ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে। যা এক মাসের সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়। এর আগে ২০২১ সালের একই সময়ে ৪৯০ কোটি ৭৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার রপ্তানি আয় করে বাংলাদেশ। সেই হিসাবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় আগের বছরের একই মাসের চেয়ে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি। এর আগে নভেম্বরে প্রথমবারের মতো এক মাসের রপ্তানি আয় ৫০০ কোটির ঘর ছাড়িয়েছিল।
ইপিবির তথ্যমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাস অর্থাৎ জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে মোট ২ হাজার ৭৩১ কোটি ১২ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এটি আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি।
এছাড়া রপ্তানি আয়ের বড় উৎস তৈরি পোশাক খাতে অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। খাতটি গত জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাসে ২ হাজার ২৯৯ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।