ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মেনে সাংবাদিকতা হবে না : শ্যামল দত্ত

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেছেন, মাদকসেবীরা অত্যন্ত শক্তিশালী। তারা এখন সোস্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে মাদক বিক্রি করে। তারা জেলে গেলেও বিচার বিভাগ থেকে জামিন নিয়ে আসে। কারণ মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রয়োগ নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তাদের নিকট অসহায়। আইনের ফাক ফোকরে তারা ছাড় পেয়ে আবারো মাদক বিক্রিতে জড়িয়ে পড়ে।

বুধবার (১২ এপ্রিল) নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে মাদকাসক্তি প্রতিরোধ জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা ও আগামী নির্বাচন, মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা মানস আয়োজিত সাংবাদিক ও সুধীজনদের সাথে মতবিনিময় ও ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শ্যামল দত্ত বলেন, ‘আমাদের রাজনীতিবিদরা নিজেরাই মাদকে আসক্ত। তাদের দিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তাই শুধু ছাত্রলীগের নেতাদের জন্য ডোপ টেস্ট নয়, এমপি নির্বাচনের প্রার্থীদেরও ডোপ টেস্ট করার বিধান রাখতে হবে। আমাদের মহান জাতীয় সংসদে মাদকাসক্ত ব্যক্তি থাকতে পারে না। কারণ যারা আইন তৈরি করে তারা যদি আইন ভংগ করেন তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে কিভাবে।’

তিনি বলেন, একটি অসাম্প্রধায়িক ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়তে হলে মাদকমুক্ত সমাজ তৈরি করতে হবে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বন্ধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকতা এ আইনের কারনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এটি সাংবাদিক বিরোধী আইন।

মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানস এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরুপ রতন চৌধুরী।

সিলেট-২ আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করে তিনি বলেন, সারা দেশে মাদকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি এবার নিজের এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।

তিনি বলেন, দিনদিন তরুণদের মধ্যে মাদক সেবনের আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে সিগারেট সেবনে আসক্ত হচ্ছে তরুণরা। বিষয়টি চিন্তা করতে হবে। মাদকাসক্তের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। ৩০ ভাগ চালক মাদকাসক্ত। তিনি বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মাদকমুক্ত হবে। এ জন্য জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মিহির মোহন ও ভোরের কাগজের সিলেট ব্যুরো প্রধান ফারুক আহমদের সার্বিক পরিচালনায় এবং শর্মিলা দেব পূরবী ও আয়শা মুন্নীর যৌথ সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, মানস সিলেটের প্রধান উপদেষ্টা মুহিবুর রহমান কিরন, সুজন সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, জেসিস সভাপতি এটিএম বদরুল ইসলাম, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকরামুল কবির, আহমেদ নুর, দৈনিক ইত্তেফাক সিলেট ব্যোরো প্রধান হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম, সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ম্যানেজার এডমিন হেলাল উদ্দিন, দৈনিক বাংলার সিলেট ব্যুরো প্রধান দেবাশীষ দেবু, অধ্যাপক কাশমির রেজা, অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসেন, প্রভাষক তপন চন্দ্র পাল, ইমজা সদস্য এমআর টুনু তালুকদার, আলমগীর হোসেন, সিলেট ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ আশরাফুল আলম নাসির।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মানস সিলেট জেলা শাখার সভাপতি হেলাল আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক আহবাব মোস্তফা খান, খালেদ আহমদ, সজল ঘোষ, এএইএম ফিরুজ আলী, মিছবাহ উদ্দিন রনি, রোটারিয়ান রফিকুল ইসলাম, বিপুল, মানস সিলেটের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, মো. লালা মিয়া, চ্যানেল এস’র সন্দীপন শুভ, ডা. মো. ফরিদ আহমদ, মো. আকদ্দুছ আলী, সুমন বিপ্লব, আজাদ আহমদ, মো. জসিম উদ্দিন, রিসিকেশ রায় শংকর, খালেদ আহমদ, ভোরের কাগজ প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম, বদরুল ইসলাম মহসিন, সুহেল আহমদ, সুহেল মিয়া।