পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ মান্নান বলেছেন, এটাই আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। ভুলভ্রান্তি করলে মাফ করে দেবেন। আর যদি এলাকার মোটামুটি উপকার করে থাকি আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে বিবেচনা করবেন। বিগত কয়েক বছরে আমাদের ভাটি অঞ্চলে অনেক উন্নয়ন কাজ হয়েছে, যা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার ছয়হাড়া গ্রামের পাকাকরণ কাজের উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের যদি শত্রুও থাকে, আমাদের পছন্দ করেনা, যারা ঢিল মারে, আগুন জ্বালায়, অবরোধ দেয় তারাও এটি অস্বীকার করতে পারবে না। যা চোখে দেখা যায় সেটা কীভাবে অস্বীকার করবে। সড়ক, সেতু, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ঢাকার সাথে সুনামগঞ্জের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ করা, গ্রামে গ্রামে হাজার হাজার টিউবওয়েল ও স্যানিটেশন, কমিউনিটি ক্লিনিকে বিনামূল্যে ওষুধ প্রদানসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। সকল সরু সেতু ভেঙে বড় করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সরকার, শেখ হাসিনার সরকারের এই উন্নয়ন চিত্র কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।
এলাকার প্রবীণ ভোটারদের উদ্দেশ্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আপনারা এলাকার মুরব্বি। আপনাদের কথা গ্রামের মানুষ শুনে, বিশ্বাস করে। সত্য কথাটা বলবেন। কারো কুপরামর্শে আমরা নিজের ক্ষতি করবোনা। আমরা গ্রামের মানুষ, ভাটির মানুষ। আমরা বুঝে ফেলেছি আমাদের প্রকৃত দরদি শেখ হাসিনা। সুতরাং আমাদের নিজেদের স্বার্থে আমাদের দরকার শেখ হাসিনার সরকার। আপনার গ্রামের পঞ্চায়েতে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। যদি আরও সড়ক, আরও ব্রিজ, আরও হাসপাতাল আরও স্কুল-মাদ্রাসা, মসজিদ-মন্দির, গোরস্থান-শ্মশান এগুলো চান তবে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করবেন। আর শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তবে আমাকে বিবেচনা করবেন। কারণ এটাই আমার জীবনের শেষ নির্বাচন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা, শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর সিতু, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসেন, দরগাপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির উদ্দিন প্রমূখ।