সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছেন দেশটির জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। আগামী ২৭ জুন দেশটিতে হতে পারে আরাফাতের দিন এবং ২৮ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন মুসল্লিরা। চাঁদের গতিবিধি অনুযায়ী ২০২৩ সালে ১৮ জুন আরবি জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার জোর সম্ভাবনা আছে।
সোমবার (১ মে) সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আপনার ক্যালেন্ডারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তারিখগুলোর একটি হলো পবিত্র ঈদুল আজহা। পবিত্র আরাফাতের দিন ২৭ জুন অনুষ্ঠিত হবে। যদি তা হয়, তাহলে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে ২৮, ২৯ ও ৩০ জুন।
তবে সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটির পক্ষ থেকে হজ ও ঈদুল আজহা নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।
মুসলিম সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল আজহা উদযাপন করে। মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদুল আজহার জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করে থাকেন।
কোরবানির ঈদ-পালনের মাধ্যমে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও নবী হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও হজরত ইসমাইল (আ.) এর অতুলনীয় আনুগত্য এবং মহান ত্যাগের পুণ্যময় স্মৃতি বহন করে। আল্লাহপাকের সন্তুষ্টির জন্য মুসলিম উম্মাহ প্রতি বছর পশু কোরবানি করে থাকে।
পশু কোরবানি একটি প্রতীকী ব্যাপার। এখানে পশু কোরবানির মাধ্যমে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জানমাল থেকে শুরু করে সবকিছুই কোরবানি করতে প্রস্তুত। হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও তার পুরো পরিবারের নজিরবিহীন কোরবানির ইতিহাস মানুষকে যে ত্যাগের শিক্ষা দেয় তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে একজন মুমিন তার সবকিছুই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করতে সদা প্রস্তুত থাকে।
সাধারণত সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ঈদুল আজহা উদযাপনের একদিন পর বাংলাদেশে মুসলমানদের অন্যতম এ উৎসব পালিত হয়।