কাতার বিশ্বকাপে রাজনৈতিক কারণে বিতর্কিত হয়েছে ইরান। দলটির হয়ে বিশ্বকাপে খেলা খেলোয়াড়দের পরিবারকে হুমকি দিয়েছে দেশটির সরকার- এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ইরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মুখোমুখি লড়াইয়ে নামবে। পরের রাউন্ডে যেতে আমেরিকানদের জিততেই হবে। অন্যদিকে, জিতলে বা ড্র করলেই নকআউট পর্বে যাবে ইরান।
ইরানে গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। ২২ বছর বয়সী মাহশা আমিনি হিজাব কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পরে পুলিশ হেফাজতে মারা যান। এই ঘটনার পরই দেশটিতে তৈরি হয়েছে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি।
ইরানি ফুটবল দল বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করেছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে দলটি তাদের দেশের জাতীয় সঙ্গীতের সময় নীরবে দাঁড়িয়েছিল। প্রতিবাদস্বরূপ তারা গাইতে অস্বীকার করেছিল।
ম্যাচের পর ইরান দলের অধিনায়ক এহসান হাজসাফি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের দেশের পরিস্থিতি ঠিকঠাক নেই। দেশের জনগণও ভালো নেই। নিহতদের পরিবারকে জানা উচিত, আমরা তাদের সাথে আছি। আমরা তাদের সমর্থন করি এবং তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই।
এর পরপরই সরকার খেলোয়াড় ও তাদের পরিবারকে গ্রেপ্তারের হুমকি ও নির্যাতনের ভয় দেখায়। যদি খেলোয়াড়রা যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচে তাদের আচরণে পরিবর্তন না আনে তবে সরকার কঠোর হতে বাধ্য হবে বলে সংবাদ মাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে। ইরানের ফুটবল দলকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, তারা যদি যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচে ‘ঠিকঠাক আচরণ’ না করে তবে তাদের পরিবার বিপদে পড়বে।