‘জয় বাংলা’ বলায় বাধ্যতামূলক অবসরে সিভিল সার্জন কর্মকর্তা

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন জালাল উদ্দীন আহমেদকে ওএসডি’র (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) এক দিন পরেই বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। সোমবার (৪ নভেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এ এম আকমল হোসেন আজাদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

সরকারি একটি টিকাদান কর্মসূচিতে বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা’ বলার পর তাঁর বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। খবর দৈনিক প্রথম আলোর।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘যেহেতু বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদের (স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলির আদেশাধীন) চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং যেহেতু সরকার জনস্বার্থে তাঁকে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা প্রয়োজন বলে বিবেচনা করে; সেহেতু, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাঁকে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা হলো।’ এছাড়া জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে, গতকাল রোববার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব শোভন রাংসা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জালাল উদ্দীন আহমেদকে ওএসডি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য, গেল ২৪ অক্টোবর বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা’ বলেন জালাল উদ্দিন আহমেদ। তাঁর এ বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সিভিল সার্জনের অপসারণের দাবিতে ওই দিন রাতেই বিক্ষোভ করেন যুবদলসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা।