আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ছিনিয়ে নেয়ার মামলায় আসামি ঈদী আমিনের ৬ দিন ও মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাদের মধ্যে মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফির বাড়ি সিলেটে।
রিমান্ড শেষে শুক্রবার তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ঈদী আমিনের ১১ দিন ও মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফির ৮ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। শুনানি শেষে বিচারক আসামি ঈদী আমিনের ছয়দিন ও মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ২৭ নভেম্বর ঈদী আমিন আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অপরদিকে ২৪ নভেম্বর মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর এ মামলায় তার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২০ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এসময় আরও দুই আসামি আরাফাত এবং সবুরকেও ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে তারা। পরে ঘটনাস্থলে আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে ২০ জনের নামে একটি মামলা করেন। মামলায় আরও সাত-আটজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।