সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

জগন্নাথপুরে প্রাণনাশের হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে নিরীহ এক যুবককে নানাভাবে হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। পৌরশহরের উত্তর জগন্নাথপুর গাংপাড় গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে শাহ আবুল হায়াত ওরফে আবু লেইছকে (৩৮) দীর্ঘদিন ধরে একটি মহল হয়রানির পাশাপাশি হত্যার হুমকি দিচ্ছে।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগের বিষয়টি তুলে ধরেন আবু লেইছের ছোট ভাই মো. আবুল হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে আবুল হোসেন বলেন, শাহ আবুল হায়াত ওরফে আবু লেইছ এলাকায় নানা সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এসব কর্মকাণ্ডের ফলে তিনি এলাকায় অনেক জনপ্রিয়। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে স্থানীয় একটি কুচক্রি মহল আবু লেইছের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে, চালাচ্ছে নানা অপপ্রচার। এ চক্রের মূল হোতারা হলেন- জগন্নাথপুরের ইছাকপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে পংকী মিয়া, বারী জগন্নাথপুর গ্রামের জহুর আলী ফেছুর ছেলে সাংবাদিক পরিচয়ধারী আলী হোসেন খান ও জগন্নাথপুরের বাঘময়না গ্রামের আবরু মিয়ার ছেলে মো. ওয়াহিদুর রহমান। অপপ্রচারের ধারাবাহিকতায় আলী হোসেন খান ও মো. ওয়াহিদুর রহমান কয়েকটি অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টালে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে আবু লেইছের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আবুল হোসেন বলেন, আবু লেইছের বিরুদ্ধে অপপ্রচারমূলক ভিডিও তৈরি করে ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়েছে। এতে সমাজে তিনি হেয়প্রতিপন্ন হওয়ার পাশাপাশি ব্যবসায়িকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিভিন্ন সংবাদে উল্লেখিত সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের রাধা কান্ত দাসের টাকা আত্মসাৎ, জগন্নাথপুর পৌরসভার সিক্কা এলাকার লক্ষণ লালের টাকা ও ছাগল আত্মসাৎ এবং পংকী মিয়ার দুই লন্ডন প্রবাসী বোনের টাকা আত্মসাতের বিষয়গুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। উল্টো পংকী মিয়া চাঁদা দাবি করেছেন আবু লেইছের কাছে। চাঁদা দিতে অসম্মতি প্রকাশ করায় আবু লেইছের ওপর আরও ক্ষেপেছেন পংকী। যে কারণে আলী হোসেন খান ও মো. ওয়াহিদুর রহমান তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এছাড়া তারা আবু লেইছকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন।

পংকী মিয়া, আলী হোসেন খান ও মো. ওয়াহিদুর রহমানের কবল থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন আবু লেইছ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আবু লেইছের বাবা মো. আবুল কাশেম, মো. ফজর আলী, মো. আব্দুল খালিক, আব্দুল আহাদ, ছায়াদ আলী, মো. আছির আলী, মো. জুনেদ মিয়া, আবু বক্কর সিদ্দিক, জাবেদ মিয়া ও আব্দুল আলী।