সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বন্যার পানি কমলে শুরু করেছে। তবে এখনও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফলে দুর্ভোগে রয়েছেন উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ।
এদিকে প্রবল বন্যায় মানুষের প্রধান বাহন হয়ে ওঠেছে নৌযান। এমন বাস্তবতায় মানুষকে জিম্মি করে নৌকা ভাড়া অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে মাঝিরা। ১৫০০ টাকা নৌকা ভাড়া এখন ৩ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। পাশাপাশি বেড়েছে ছোট যানবাহনের ভাড়াও।
উপজেলাবাসী ও উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্র জানায়, ১৭ জুন থেকে জগন্নাথপুর উপজেলায় ভয়াবহ বন্যায় তলিয়ে জগন্নাথপুর পৌরসভা ও উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন। সিলেট বিভাগীয় শহরের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান সড়ক, জগন্নাথপুর -বিশ্বানাথ রশিদপুর সড়ক, জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক, ঢাকার রাজধানীর সঙ্গে যাতায়াতের পাগলা-জগন্নাথপুর- রানীগঞ্জ- আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়ক।
এছাড়া উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের অভ্যন্তরীণ সব কটি সড়কসহ গ্রামীণ সকল রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। গত ১০দিন ধরে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল রয়েছে। ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়ক, জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ সড়ক ও জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন স্থান থেকে পানি কমলেও সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়নি। এছাড়া অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো ডুবে আছে এখন।
এদিকে যেসব সড়ক এলাকা থেকে পানি কমেছে, ওই এলাকায় ছোট ছোট যানবাহন চলাচল শুরু করছে। এসব যানবাহনে দুই থেকে তিনগুন ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
পৌরশহরের ইকড়ছই এলাকার আব্দুল গফুর জানান, ‘উপজেলার গন্ধর্বপুর এলাকা থেকে সিএনজিচালিত অকোরিকশায় গতকাল ১০ থেকে ভাড়া দিয়ে শহরের হেলিপ্যাড এলাকায় এসেছি। যেখানে বন্যার আগে ভাড়া ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা। এখনো বন্যার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় এজন্যে চালকরা দুর্যোগকালীন পরিস্থিতির মধ্যে মানুষের নিকট থেকে তিনগুন ভাড়া আদায় করছেন।’
সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাসান জানান, ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতির কারণের ইউনিয়নের প্রায় সব কটি সড়ক এখনো পানির নিচে রয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে আছেন মানুষজন। যোগাযোগের জন্য এখন নৌকাই ভরসা। এরমধ্যে ভাড়াও অতিরিক্ত।
চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমলেও ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাট পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। যে কারণে জনভোগান্তি বেড়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব কুমার দেব বলেন, বন্যা পরিস্থিতিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছ। এজন্য বড় ধরণের দুর্ভোগে আছেন উপজেলাবাসী।
জগন্নাথপুর উপজেলা কার্যালয়ের (এলজিইডি) প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন জানান, এখনো অধিকাংশ গ্রামীণ সড়কগুলোতে পানি রয়েছে। সড়কের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।