জগন্নাথপুরে ঈদের আগেই মসলার দাম চড়া

ফাইল ছবি।

পবিত্র ঈদুল আজহা ঘিরে ভিড় জমে উঠেছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন মসলার বাজারে। ঈদের আগে কয়েকটি মসলার দাম কমলেও বাহারি রান্নার অন্যতম উপকরণগুলোর দাম বেড়েছে কয়েকগুণ বেশি। মসলার প্রকারভেদে কেজিপ্রতি ২০ টাকা থেকে বেড়েছে ২ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত।

আজ জগন্নাথপুরের আশেপাশের বাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানি ঈদের আগে মসলার বাজারে আগুন, দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ১২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে জিরা, দারচিনি ৬০০ টাকা, এলাচি ৩০০০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা, আদা ২৮০ টাকা।

এছাড়া মেথি ১৬০ টাকা কেজি, পাঁচফোড়ন ২২০ টাকা, সরিষার তৈল ৩৯০ টাকা, লবঙ্গ কেজি প্রতি ২০০ টাকা সহ বিভিন্ন মসলার দামে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

কাঁচা বাজারের মসলা বিক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন, ঈদের প্রতিটি মসলায় অনেক দাম বেড়েছে। রাতারাতি কেজি প্রতি ২শ থেকে ২হাজার টাকার পার্থক্য তৈরি হয়েছে। আমরা যেমন দামে কিনে আনি তেমনিভাবেই বিক্রি করতে হয়। দাম বাড়ানো বা কমানোতে আমাদের হাত নেই।

হাবিব ভেরাইটিজ ষ্টোরের ম্যানেজার সুশেন দাস বলেন, ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছরই মসলার দাম বৃদ্ধি পায়। এবারও এর ব্যতিক্রম কিছু হয়নি। তবে এবারে দাম অনেকটা বেশি বেড়েছে এটাই সমস্যা।

মসলা কিনতে আসা চান মিয়া বলেন, আমরা প্রতি বছর বড় হাঁড়িতে গরুর মাংস একসাথে বেশি করে রান্না করি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মাংসের মসলা বেশি প্রয়োজন হয়। মাংস ছাড়াও ঈদের নানা আয়োজনে মসলা তো লাগেই। কিন্তু বাজারে মসলার যে দাম তা রীতিমতো ভয়ানক।

সুবান মিয়া নামের আরেক ক্রেতা বলেন, সবকিছুরই দাম বাড়ছে। মসলার বাজারে তো দামের আগুন আরো বেশি। কিছুই কেনার উপায় নেই।

আরেক ক্রেতা সুনিয়া বলেন, আমরা গরিব মানুষ- মসলার যে দাম আমরা এবার ঈদে গরু রান্না করতে পারবো না। মসলাও কিনতে পারবো না।

বাজার মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল বশিরুল ইসলাম বলেন, আমরা বাজার তদারক করছি, ঈদের আগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।