সিলেটে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সিলেট মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক সগির আহমেদ এ আদেশ দেন।
রিমান্ড আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, রবিবার হিরণ মাহমুদ নিপুকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মধুসূদন। পরে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আগামীকাল তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আরও জানান, এ পর্যন্ত এ মামলায় এজাহারনামীয় ১০ জন আসামির মধ্যে ৯ জন আসামিকে বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার অথবা আত্মসমর্পণের পর পুলিশ হেফাজতে এসেছে। যার মধ্যে ৮জন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তবে এখনো সবুজ নামে এক আসামী পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে।
এর আগে গত সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ১১টার দিকে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন মামলার প্রধান আসামি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হিরণ মাহমুদ নিপু। তখন বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ২০ নভেম্বর রাত ১২টার দিকে নগরের টিবিগেট এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী আরিফকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় কয়েকজন যুবক। পরে তাঁকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরন মাহমুদ নিপুকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিহত আরিফের মা আঁখি বেগম। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ০৫ জনকে অজ্ঞাত রেখে ১৫ জনকে আসামি করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর উচ্চ আদালত থেকে প্রথমে ছয় সপ্তাহ ও পরে আরও দুই সপ্তাহের জামিন নেন নিপু। এরপর ১২ ফেব্রুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।