সুনামগঞ্জের ছাতকে শেয়ারে ব্যবসার কথা বলে ব্যবসায়ীদের ৩ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন ফারুক মিয়া নামে এক ব্যক্তি। তিনি সিলেটের জালালাবাদ থানার লামাকাজী ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে।
জানা গেছে, ফারুক মিয়া ছাতক শহরে এসে গ্রামীণফোনের কাস্টমার সার্ভিসের ব্যবসা শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি বালু-পাথরের ব্যবসা করে ব্যবসায়ীদের আস্থা অর্জন করেন। শহরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গড়ে তোলেন সখ্য। ফলে অনেক ব্যবসায়ী তার সঙ্গে শেয়ারে ব্যবসা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এমনই একজন ব্যবসায়ী শামছুল হক জানান, প্রতি মাসে লাভের একটি অংশ দেওয়ার শর্তে তার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা নেন ফারুক মিয়া। কিন্তু দীর্ঘদিন লভ্যাংশ না দেওয়ায় তার মূলধন ২০ লাখ টাকা ফেরত চাইলে তিনি কালক্ষেপণ করেন। পরে গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ইসলামী ব্যাংক ছাতক শাখায় তার হিসাব নম্বরে ২০ লাখ টাকার একটি চেক দেন ফারুক। তবে এ হিসাবে কোনো টাকা না থাকায় সেটি ডিজঅনার হয়। পরে এ চেক ফারুক মিয়ার স্ত্রী ফাহিমা সুলতানা জেমী নিয়ে শামছুল হককে নগদ ৪ লাখ টাকা দিয়ে আর কোনো যোগাযোগ করেননি।
এছাড়া ফারুক মিয়াকে টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ব্যবসায়ী হাজি বুলবুল আহমদ, কবির মিয়া চৌধুরী, আশরাফুল হক, হাজি সিরাজ মিয়া, ফয়েজ আহমেদসহ অনেক ব্যবসায়ী। এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ফারুক মিয়া ও তার স্ত্রী ফাহিমা সুলতানা জেমী।
ব্যবসায়ী শামছুল হক বলেন, আমার টাকা নিয়ে প্রতারক ব্যবসায়ী ফারুক মিয়া উধাও হয়ে ফ্রান্সে গিয়ে আত্মগোপন করে আছেন। আমি প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।
আরেক ব্যবসায়ী বুলবুল আহমদ বলেন, ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন ফারুক। এছাড়া অনেক বালু-পাথর ব্যবসায়ীকে পথে বসিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে এনে ফারুকের বিচার করে যেন ব্যবসায়ীদের কষ্টার্জিত টাকা ফেরত দেওয়া হয়।