ছাতকে কিরণ ও দোয়ারায় তানভীর বিজয়ী

ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী ছাতকে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন রফিকুল ইসলাম কিরণ ও দোয়ারাবাজারে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন দেওয়ান আল তানভীর আশরাফী চৌধুরী বাবু।
ছাতক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী প্রার্থী রফিকুল ইসলাম কিরণ কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৪১ হাজার ১৪৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওলাদ আলী রেজা আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৯৬৩ ভোট। বিজয়ী ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।
ছাতক উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে ১০৩টি কেন্দ্রে ৩ লাখ ১১ হাজার ৯৫৭ ভোটের বিপরীতে লড়েন ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থী।
বিজয়ী রফিকুল ইসলাম কিরন স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। এমন একজন ব্যক্তি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা। প্রথমবারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার ছাতক উপজেলাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন রফিকুল ইসলাম কিরণ।
অপরদিকে, ছাতক উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাজী মো. আব্দুস সামাদ চশমা প্রতীকে ৪৩ হাজার ৫৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইজাজুল হক রনি বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীকে পেয়েছেন ১১ হাজার ২৩২ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বতর্মান পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. লিপি বেগম।
অপরদিকে, কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী দোয়ারাবাজার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমান চেয়ারম্যান দেওয়ান আল তানভীর আশরাফী চৌধুরী আনারস প্রতীকে ২৫ হাজার ৬৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম জুয়েল দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ২২৯ ভোট। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আরও ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইদ্রিস আলী মোটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৬৯০ ভোট, মো. নুরুল আমিন ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬৩৬ ভোট এবং দেওয়ান আশিদ রাজা চৌধুরী কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৯৬০ ভোট। ৬১টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৩১ হাজার ভোটারের বিপরীতে লড়েন প্রার্থীরা।
অপরদিকে, ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. আবু বকর সিদ্দিক বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীকে ১১ হাজার ৬৭৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মো. বশির আহমদ (চশমা প্রতীক)। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৪৫ ভোট। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মোছা. শিরিনা বেগম। তিনি হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাইলী বেগম সেলাই মেশিন প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ১৮১ ভোট।
এদিকে তানভীরের জয়ে খুশি তার অনুসারী ও তার সমর্থকরা। জয়ের সংবাদে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিজয় মিছিল বের হয়।
দ্বিতীয়বার বিজয়ী হওয়ায় ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তানভীর আশরাফি বাবু বলেন, এ জয় জনগণের জয়। উপজেলার সর্বস্তরের জনগণকে জয় উৎসর্গ করলাম। জনগণ আমাকে বিশ্বাস করে আবারও চেয়ারম্যান করেছেন আমি তাদের আস্থার মূল্যায়ন করতে চাই। দোয়ারাবাজার উপজেলাকে একটি উন্নয়নমুখী উপজেলা হিসেবে গড়তে চাই।