সিলেটে ভারতীয় এক ট্রাক চোরাই চিনি জব্দ করেছে পুলিশ। সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে চোরাই চিনি আটক করে পুলিশে খবর দেন।
শুক্রবার (২৮ জুন) রাত পৌনে তিনটার দিকে মহানগরীর আম্বরখানা এলাকায় থেকে চিনির বস্তাগুলো জব্দ করা হয়। বর্তমানে আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ির জিম্মায় রয়েছে চোরাই চিনির ট্রাকটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুনু মিয়া।
জানা গেছে, শুক্রবার রাত তিনটার দিকে আম্বরখানা এলাকায় বৃষ্টির মধ্যে একটি সিএনজিচালিত অটোরকিশা দুর্ঘটনায় পড়লে সৌরভ সেখানে যান। তারা রাস্তায় অবস্থানের সময় দুটি ট্রাক দ্রুতগতিতে যেতে দেখে সৌরভ তার সঙ্গে থাকা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের দিয়ে ট্রাক দুটোকে ধাওয়া করেন। পথে একটি ট্রাক থামলে পলিথিনে মোড়ানো চিনি দেখে আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়িতে জানান। পুলিশ ট্রাক তল্লাশি করে চোরাই চিনি পায়। ততক্ষণে চালক ট্রাক ফেলে পালিয়ে যায়।
সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের কর্মী মাহমুদ সারওয়ার নাহিদ সিলেট ভয়েসকে জানান, ‘চিনিকাণ্ডে যখন ছাত্রলীগের নাম জড়াচ্ছে ঠিক সেই সময়েই স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে তিনি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে তার এমন কাজকে সাধুবাদ জানাই। আশাকরি, তিনি সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার থাকবেন।’
এ ব্যাপারে কিশওয়ার জাহান সৌরভ সিলেট ভয়েসকে বলেন, ‘আম্বরখানা পয়েন্টে প্রায়শই দেখা যায় দ্রুত গতিতে চোরাই মালামাল বহনকারী গাড়ি ছুটে যাচ্ছে। এখানে একটি পুলিশ ফাঁড়ি থাকার পরও চোরাচালান থামছে না। আমি কর্মীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে গিয়ে ট্রাকটি ধাওয়া করি। পরে পুলিশে খবর দেই।’
চিনিকাণ্ডে ছাত্রলীগের নাম জড়ানোর বিষয়ে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি সিলেট ভয়েসকে বলেন, ‘এরকম প্রশ্ন আমরা রীতিমত বিব্রত। এমনকি প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি বারবার। সে কারণে আমরা (ছাত্রলীগ) এখন চেষ্টা করে যাচ্ছি, কে বা কারা চিনি চোরাচালানের সাথে জড়িত তা খুঁজে বের করতে৷ এ ব্যাপারে আমরা প্রশাসনকে সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখব।’
এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুনু মিয়া জানান, ‘ট্রাকে তল্লাশি করে চোরাই পথে আনা ১১৭ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’