চা শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি ২০ হাজার টাকাসহ ১১ দাবিতে সমাবেশ

জাতীয় নুন্যতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, চা শ্রমিকদের স্বার্থ বিরোধী গেজেট বাতিল, চা শ্রমিকদের ভূমির অধিকার নিশ্চিত করা ও দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা নির্ধারণ, জাতীয় পরিষেবা বিল ২০১৩ বাতিল এবং গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ২৫ হাজার ঘোষণা ও শ্রমিক হত্যার বিচার সহ ১১ দফা দাবিতে সমাবেশ করেছে জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বিকালে সিলেটের কোর্ট পয়েন্টে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল রায় এর সভাপতিত্বে ও গণতান্ত্রিক শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব সুশান্ত সিনহা সুমন এর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ শ্রমিক নেতা জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মনজুরুল আহসান খান, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জহিরুল ইসলাম, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামীম ইমাম, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ.এ. এম. ফয়েজ হোসেন, চা শ্রমিকদের ১০ দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, গনতান্ত্রিক শ্রমিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক অপু দাস গুপ্ত, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশ সিলেট জেলার সভাপতি সিরাজ আহমদ, চা শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক হৃদেশ মোদি, চা শ্রমিকদের ১০ দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির কেন্দ্রীয় আহবায়ক সবুজ তাতী, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশ সিলেট জেলার সভপতি বিরেন সিং প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, একদিকে গার্মেন্টস শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি নিয়ে মালিকদের প্রহসন আরেকদিকে চা শ্রমিকদের স্বার্থ বিরোধী গেজেট প্রতিটি ক্ষেত্রেই শ্রমিকদের স্বার্থ লঙ্ঘিত হচ্ছে। মালিক শ্রেণীর ইন্ধনে নির্বিচারে পুলিশের গুলিতে শ্রমিক হত্যা আজ আন্দোলন দমনের হাতিয়ার আকারে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর মূল্যস্ফীতির এই বাজারে গার্মেন্টস শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য বেতন ২৫ হাজার টাকা করার দাবি করেছিলো অথচ নতুন ঘোষিত মজুরি কাঠামোতে শ্রমিকদের দাবির সাথে ‘প্রহসন’ করা হয়েছে। সরকার ও মালিকপক্ষ বর্তমান নতুন গ্রেডিং নিয়মে যে বেতন কাঠামো ঘোষণা করেছে তা দক্ষ শ্রমিকদের জন্য প্রহসনের শামিল। পূর্বের মজুরি অনুযায়ী ইনক্রিমেন্টসহ সিনিয়র অপারেট শ্রমিকের মজুরি ১১ হাজার টাকার বেশি ছিল অথচ নতুন মজুরি কাঠামোয় গ্রেড ৪ অনুযায়ী তাদের মজুরি ১৩ হাজার ২৫ টাকা। এই ‘প্রহসনের’ মজুরি কাঠামো প্রত্যাখ্যান করে শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে নির্বিচারে গুলি করে বিজিবি-পুলিশ। এ ন্যাক্কারজনক হত্যাকান্ডের বিচারের দাবি করেন নেতারা। অবিলম্বে গুলি-হত্যা-হামলা-মামলা বন্ধ করে শ্রমিকদের ২৫ হাজার টাকা মজুরির দাবি মেনে নেয়ার আহ্ববান জানানো হয়। অনুরুপভাবে চা শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরিও এক ধরনের প্রহসন মাত্র যা চা শ্রমিকদের ১৭০ টাকা মজুরি সেই ইঙ্গিত বহন করে। বিবৃতিতে অবিলম্বে শ্রমিক হত্যার বিচার ও ২৫ হাজার টাকা বেতন, অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল-২০২৩ বাতিল, চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা করা সহ জাতীয় শ্রমিক কর্মচার সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।