ঘূর্ণিঝড় মোখায় মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০২–এ দাঁড়িয়েছে। খবর দেশটির গণমাধ্যমের।
ঘূর্ণিঝড় মোখা যখন দেশটির উপকূলে প্রবেশ করে, তখন এর গতি ছিল প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৯৫ কিলোমিটার। গত রবিবার অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়টি মিয়ানমার ও বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানে।
মোখার আঘাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিম উপকূলীয় রাজ্য রাখাইনের বাসিন্দারা দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির মধ্যে তাদের ভেঙে পড়া ঘরবাড়ি মেরামত করার জন্য সংগ্রাম করছেন। পাশাপাশি ত্রাণ সহায়তার জন্যও অপেক্ষা করছেন তারা। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার তিন দিন পরও ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা বা আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর কাছ থেকে প্রত্যাশিত ত্রাণ পৌঁছায়নি তাদের কাছে। আগে থেকেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ক্ষতবিক্ষত রাজ্যটি ১৬ বছরের মধ্যে হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়ে আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে ইরাবতী সংবাদপত্র জানিয়েছে।
রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তুয়ের প্রায় ৯০ শতাংশ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। ঝড়ে শহরটির বেশিরভাগ ঘরবাড়ির ছাদ উড়ে যায় এবং এটি জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়। সোমবার মিয়ানমারের জান্তা সরকার রাখাইনের ১৭টি ছোট শহরকে দুর্যোগ কবলিত এলাকা বলে ঘোষণা করেছে।
এদিকে রাখাইনের প্রতিবেশী চীন রাজ্যে মোখার আঘাতে এক হাজার দুইশরও বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মঙ্গলবার জাতিসংঘ জানিয়েছে। একইদিন মিয়ানমারের বেসামরিক ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) জানিয়েছে, রাজ্যটিতে ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১১৩৬টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
সিলেট ভয়েস/এএইচএম