গত কয়েকদিনের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। নদ-নদীর পানি বেড়ে গিয়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মানুষের বসতবাড়িতে পানি উঠে চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। উপজেলার পানিবন্দি মানুষের মাঝে এখন প্রতিনিয়ত এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ অবস্থায় মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাহাড়ি ঢলের পানি সারি, পিয়াইন ও ডাউকি নদী দিয়ে এলাকায় ঢুকছে। এতে পূর্ব জাফলং, মধ্য জাফলং, পশ্চিম জাফলং, পূর্ব আলীরগাঁও, পশ্চিম আলীরগাঁও, রুস্তমপুর, লেঙ্গুড়া, ডৌবারি, তোয়াকুল, নন্দীরগাঁও ও সদর ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, বুধবার (১৫ জুন) বিকেল পর্যন্ত নদ-নদীতে বন্যার পানি দ্রুত বাড়ছে। উপজেলার সবক’টি ইউনিয়নেই হু হু করে পানি বাড়ছে। এতে বন্যায় বিপর্যস্ত গোয়াইনঘাটের জনজীবন।
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল হওয়ায় ঢলের পানি বেড়ে গোয়াইনঘাটের সিংহভাগ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বসতবাড়িসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠে সাধারণ মানুষের জন্য ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া অনেকে গবাদি পশু নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে পানি বেড়ে উপজেলা সদরের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী প্রধান সড়কগুলো সালুটিকর-গোয়াইনঘাট, সারী-গোয়াইনঘাট, জাফলং-গোয়াইনঘাট সড়কগুলো পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার সহস্রাধিক পরিবারের বসতঘরে বন্যার পানি উঠেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনএ) মো. তাহমিলুর রহমান বলেন, গোয়াইনঘাটে আবারও বন্যায় বিপুল সংখ্যক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যাকবলিত এলাকায় ৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পানিবন্দি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে।