গোলাপগঞ্জ সরকারি এমসি একাডেমির পিছনের খালি জায়গায় পশুর হাট। ১ম দিনে হাটে প্রচুর গরু-ছাগল উঠলেও বিক্রি একবারেই কম। ক্রেতারা আসছেন, তবে দামে ধরে না হওয়ায় গরু না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন।
সরেজমিন মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বিকেলে পশুর হাটে গেলে দেখা যায়, হাটে প্রচুর গরু-ছাগল উঠেছে। তবে বেচাকেনা নেই।
এদিকে পশুর হাটের প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠেছে কালা মানিক। গলায় মালা পড়ানো, কালো রঙের কালা মানিক দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ।
পার্শ্ববর্তী বিয়ানীবাজার উপজেলার আলীনগর থেকে ময়না মিয়া নিয়ে এসেছেন কালা মানিক। তিনি বলেন- ‘ভালবেসে গরুর নাম রেখেছি কালা মানিক। ৩ লাখ টাকা দাম চাইতেছি। যে দাম হচ্ছে এটা বিক্রির উপযোগী নয়। আমার কালা মানিকের ওজন প্রায় ৯ মণ। সর্বশেষ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাম পেলে বিক্রি করে দিব। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনো বিক্রি হয়নি কালা মানিক।’
জায়েদ আহমদ নামে এক ক্রেতা বলেন- ‘গরুর দাম খুব বেশি। আজকে গরু কিনব না। এখনো সময় আছে দেখা যাক দাম কমে কি না।’
আরেক ব্যবসায়ী রাসেল আহমদ বলেন- ‘আসলেই গরুর দাম বেশি। কিন্তু কেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন- ভারত থেকে গরু আসছে না। যে কারণে গরুর দাম বেশি। যে গরু নিয়ে এসেছি, দাম না পেলে তো লোকসানে বিক্রি করতে পারব না।’
হাট পরিচালনাকারী এনায়েত করিম বলেন- ‘১ম দিন হিসেবে বিক্রি কম হচ্ছে। ক্রেতারা আসছেন। হাটেও প্রচুর গরু-ছাগল রয়েছে। আমরা ক্রেতা বিক্রেতাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। গোলাপগঞ্জ মডেল থানার পুলিশও মোতায়েন রয়েছে।’
হাট পরিদর্শন শেষে গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল বলেন- ‘এমসি একাডেমির এই হাট উপজেলার সবচেয়ে বড় হাট। এখানে সব ধরণের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের কোন ধরণের অসুবিধা হয়না। আজ ১ম দিন বাজারের পরিস্থিতি ভাল। তবে বিক্রি কম। এখনো সময় আছে। শেষ পর্যন্ত প্রতিবারের মত এবারও জমে উঠবে গরুর বাজার। ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’