সিলেটের গোলাপগঞ্জে আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা গোলাপগঞ্জ পৌরে এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। গোলাপগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুদর্শন সেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এতে পুলিশ ও বিজিবিসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন, উপজেলার ধারাবাহর গ্রামের মো. মকবুল আলীর ছেলে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ঠিকাদার (খাবার সরবরাহকারী) তাজ উদ্দিন (৪৩) ও শিলঘাটের বাসিন্দা সানি আহমদ (১৮)।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা সুদর্শন সেন বলেন, দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে হাসপাতালেই মারা যান তারা।
তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে একজনের পেটে ও অন্যজনের গলায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। পরে মরদেহ স্থানীয়রা নিয়ে যান।
এদিকে, তাজ উদ্দিনের মরদেহ পৌরশহরে নিয়ে এসে ধারাবহর এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিক্ষোব্দ জনতা মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনায় গোলাপগঞ্জ পৌরশহর ও ঢাকাদক্ষিণ এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, রোববার দুপুরে গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণ ডিগ্রি কলেজের সামনে থেকে ছাত্র-জনতা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় তাদের সরিয়ে দিতে চায় পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থলে বিজিবিও উপস্থিত ছিলো। একপর্যায়ে পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ শুরু হয়। বিভিন্ন মসজিদে ঘোষণা দিয়ে এসময় এলাকাবাসীও সংঘর্ষে জড়িত হন। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে ছাত্র-জনতা ও এলাকাবাসী পুলিশ-বিজির দিকে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে এবং পুলিশ-বিজিবি গুলি, টিয়ার সেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ ও বিজিবি পিছু হটতে বাধ্য হয়।
সেখান থেকে এক পর্যায়ে সংঘর্ষ গোলাপগঞ্জ পৌরশহরে ছড়িয়ে পড়ে। বেলা ২টার দিকে পৌর এলাকার ধারাবহরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে কিছু মানুষ জড়ো হলে সেখানে পুলিশ ও বিজিবি আসলে ফেল উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় গুলিতেবিদ্ধ হয়ে তাজ উদ্দিন ও সানি আহমদ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্ঠা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।