সিলেটের গোলাপগঞ্জে মোটরসাইকেল কেনাবেচার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক রিমন খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে নিহতের বাবা বাদি হয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৬জনকে আসামী করা হয়েছে।
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. আব্দুন নাসের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার রাতে আটক দুই নারীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালাতে পাঠানো হয়েছে। শনিবার বেলা দুইটার দিকে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে শুক্রবার রাতে মোটরসাইকেল কেনাবেচার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হন রিমন আহমদ (২০)। সে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজভাগ রফিপুর গ্রামের ইসরাব আলীর ছেলে। রিমন পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী সাদিক ও বদরুলের মধ্যে মোটরসাইকেল বিক্রির ১০ হাজার টাকা নিয়ে বিরোধ চলছিলো। শুক্রবার সকালে টাকা পরিশোধ না করায় সাদিক বদরুলের মোটরসাইকেলটি নিয়ে বাড়িতে আটকে রাখেন। পরবর্তী বদরুল তার মোটরসাইকেলটি ছাড়িয়ে নিতে গেলে তাদের দু’পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়া চলাকালীন বদরুলের চাচাতো ভাই নিহত রিমন আহমদ বদরুলের পক্ষ ধরে কথা বললে সাদিকসহ তার পরিবারের লোকজন তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে সাদিকসহ কয়েকজনের হামলায় রিমন আহমদ গুরুতর আহত হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সাদিক একই গ্রামের মজির উদ্দিনের ছেলে।
এ ঘটনায় নিহত রিমন আহমদের বাবা ইসরাব আলী বাদি হয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় ৬জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. আব্দুন নাসের বলেন, ঘটনার পর জড়িত থাকার অভিযোগে দুই নারীকে শুক্রবার রাতেই আটক করা হয়েছে। শনিবার সকালে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত যুবকের বাবা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।