সিলেটের গোলাপগঞ্জে স্ত্রীর বিরুদ্ধে শ্বাসরোধ করে মসজিদের এক ইমামকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ইমামের নাম মাওলানা রুহুল আমীন (৩৭)। শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হিলালপুর গ্রামে একটি ভাড়া বাসা থেকে নিহত ইমামের মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক স্ত্রী নাদিয়া বেগমকে (৪০) আটক করেছে। নিহত ইমাম রুহুল আমিন গোয়াইনঘাট থানার ডৌবাড়ি ইউনিয়নের ডেমি গ্রামের শহিদুর রহমানের ছেলে। তিনি হিলালপুর গ্রামে একটি মসজিদে ইমামতি করতেন।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘাতক নাদিয়া বেগম দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিহত ইমামের তার সাথে পরিচয় হয়। এরপর ২০২০ সালে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর স্বামীর চাপে তিনি দেশে চলে আসেন। প্রবাসে থাকাকালীন আয়ের সকল টাকা ওই মহিলা তার স্বামীর কাছে দিতেন। দেশে আসার পর তাদের সংসার সুখের ছিলো না। বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হত।
জানা যায়, গত ১৫ দিন আগে স্ত্রীকে না জানিয়ে নিহত ইমাম অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেন। যে কারণে স্বামীর প্রতি ক্ষোভ বেড়ে যায় ওই মহিলার। শুক্রবার রাতের কোন এক সময় স্ত্রী স্বামী রুহুল আমীনকে ভাতের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে খেতে দেন। পরবর্তীতে রাতের কোন এক সময় অচেতন অবস্থায় পড়নের ওড়না দিয়ে স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে খাটের নিচে ইট দিয়ে লুকিয়ে রাখেন।
শনিবার বিকেলে এলাকাবাসী বাসার খাটের নিচে রুহুল আমীনের মরদেহ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টমের জন্য ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এদিকে, ঘাতক মহিলা তার নিজের কোন পরিচয় দিতে পারেনি। পরিচয় জানতে চাইলে তিনি জানান, মা-বাবার নাম বা বাড়ির ঠিকানা জানেন না।
এ ঘটনায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোহাম্মদ আব্দুন নাসের বলেন, ‘প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ধারণা করছে রুহুল আমীনকে অচেতন করে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।’