অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ (শনিবার) সন্ধ্যায় তাকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সিলেটের কারা উপ-মহাপরিদর্শক মো. ছগির মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিচারপতি মানিককে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদানের জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছিলেন। আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে আসার পর প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় দেখা যায় তিনি গুরুতর আহত। তাই তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।’
মারধরের কারণে বিচারপতি মানিকের একটি অণ্ডকোষ ফেঁটে গেছে এবং শরীরের ভিতরে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এরকম ক্ষেত্রে আসামীর চিকিৎসা প্রাথমিকভাবে পুলিশকে নিশ্চিত করে তারপর কারাগারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে আসামীকে আদালতের মাধ্যমে আগে কারাগারে প্রেরণ করা হয়, তারপর তার শারিরীক অবস্থা বিবেচনায় তাকে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রাতেই বিচারপতি মানিকের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়। পরে তাকে পোস্ট-অপারেটিভে নিবিঢ় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিককে সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতের অনুপ্রবেশের সময় আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। রাতের একটি ভিডিওতে দেখা যায় বিচারপতি মানিক তার উপর দালালদের মারধরের অভিযোগ করেন।
তবে তার চিকিৎসা নিশ্চিত না করে শনিবার সকালে তাকে কানাইঘাট থানার কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি। পরে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালত কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন এবং তার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
কারাগারে তাকে হাজির করার সময়ও তার উপর ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করা হয় এবং তাকে মারধরের চেষ্টা করা হয়।