গানের উৎসবে হামাসের হামলায় ২৬০ মরদেহ উদ্ধার

হুদি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব সুক্কোত উপলক্ষ্যে দক্ষিণ ইসরায়েলের একটি মরুভূমিতে জড়ো হয়েছিলেন কয়েকশ মানুষ। শনিবার (৭ অক্টোবর) রাতের বেলা উন্মুক্ত ও খোলা মরুভূমিতে ‘নাচ-গান ও আনন্দে’ মেতে থাকার কথা ছিল সেখানে জড়ো হওয়া তরুণ-তরুণীদের।

তবে এই গানের উৎসবটি রূপ নিয়েছে বিষাদে। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সদস্যরা গানের উৎসবে ওইদিন সকালে অতর্কিত হামলা চালিয়ে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছেন। উদ্ধারকারী সংস্থা জাকা জানিয়েছে, উৎসবস্থল থেকে অন্তত ২৬০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার ভোরে হামাসের প্রায় ১ হাজার যোদ্ধা গাজা উপত্যকা থেকে লোহার সীমান্ত প্রাচীর ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করেন। আর সে সময়ই গাজার পার্শ্ববর্তী মরুভূমিতে চলছিল এই উৎসব।

গানের উৎসবে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন, প্রথমে রকেট হামলার একটি শব্দ শুনতে পান তারা। এরপর হঠাৎ করে চোখের পলকে সেখানে উপস্থিত হন হামাসের সদস্যরা। তারা এসেই এলোপাতারি গুলি শুরু করেন। এরপর সেখানে জড়ো হওয়া তরুণ-তরুণীরা প্রাণ ভয়ে পালানো শুরু করেন।

সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্রাণ বাঁচাতে কিভাবে দৌঁড়াচ্ছেন মানুষ। এছাড়া হামাসের যোদ্ধারা যে অনবরত গুলি ছুড়ে যাচ্ছিলেন সেটিও ভিডিওতে স্পষ্টভাবে শোনা গেছে।

মরুভূমি হওয়ায় সাধারণ মানুষ যে কোথাও পালিয়ে আশ্রয় নেবেন সেই উপায়ও ছিল না। ফলে উৎসবে অংশ নিতে যাওয়ারা সামনের দিকে শুধু দৌঁড়াতে থাকেন। আবার অনেকে গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। আর যাদের কপাল খারাপ ছি-তারা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

এদিকে হামাসের ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামের এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ৭০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এছাড়া প্রায় ১০০ জনকে আটক করে গাজায় নিয়ে গেছে তারা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

সূত্র : বিবিসি