গাজীপুরের কালিয়াকৈর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩০ জন দগ্ধ হয়েছে। তাদের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউ এইচডিইউসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কালিয়াকৈরের কোনাবাড়ি টেলি শালা টপস্টার এলাকায় বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই আহতদের রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন স্থানীয় ও তাদের স্বজনরা।
জরুরি বিভাগ থেকে দগ্ধদের মধ্যে শিশুসহ সবার নাম জানা গেছে। দগ্ধরা হলেন- নাদীম (২২), নীরব (১০), সুফিয়া (৯), মিরাজ(১৩), তারেক রহমান, সোলায়মান (৯) আইসিইউতে আছেন, লালন (২৩), নাঈম (৮) আইসিইউতে ভর্তি, শিল্পি (৪০), ইয়াসিন আরাফাত (২১), সুমন (২৬), মুহিদুল (২৭) আইসিইউতে ভর্তি, মুন্নাত (১৮) পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে ভর্তি, রাব্বি (১৩) পোস্ট অপারটিভ ওয়ার্ডে ভর্তি, নার্গিস(২৫) সাদিয়া খতুন (১৮), জহিরুল (৩২) পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে ভর্তি, আরিফ (৪০) আইসিইউতে ভর্তি, রত্না বেগম (৪০), তাইবা (৫), মনসুর আলী (৩০), নূরনবী (৩) ১০%, রহিমা (৩), কবীর (৩০), কুদ্দুস (৪৫), তৌহিদ (৭), সোলায়মান মোল্লা (৪৫) ৯৫%, মশিউর (২২), লাদেন (২২), কমলা খাতুন (৬৫), নিলয় (৩), বাশার (৪৫), মো. ফেরদৌস (১৯), আজিজুল (২৪), সুমি (১৯), মোতালেব (৪০)।
এদিকে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ্ আল আরেফিন জানান, সংবাদ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের টিম যায়। সেখানে গিয়ে দগ্ধ কাউকে পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিস যাওয়ার আগেই দগ্ধদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খবর পেয়ে বার্ন ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।
তিনি জানান, দগ্ধদের ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শরীরের ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে। এদের মধ্যে ৭ শিশু রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি আরও জানান, শিশুসহ পাঁচজন আইসিইউতে ও চারজনকে এইচডিইউতে রাখা হয়েছে।