গাজায় ইসরাইলী আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ২৭ হাজার ১৯ জনে পৌঁছেছে। এ ছাড়া এ পর্যন্ত আহত হয়েছে ৬৬ হাজার ১৩৯ জন।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরাইলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে যায় হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরাইল।
গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরাইলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন।
হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রথম দিকে ইসরাইলি বাহিনী উত্তর গাজায় হামলা চালায়। ফলে ইসরাইলি হামলা থেকে বাঁচতে অধিকাংশ ফিলিস্তিনি দক্ষিণ গাজায় এসে আশ্রয় গ্রহণ করেন।
এরপর দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে হামলা জোরদার করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। তাদের দাবি, শহরটিতে শক্ত ঘাঁটি গেড়ে বসেছে হামাস। ফলে বর্তমানে অধিকাংশ ফিলিস্তিনি মিশরের সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে খোলা আকাশের নিচে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন তারা।
সম্প্রতি ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজায় হামলা বন্ধের আদেশ দিয়েছে আন্তজার্তিক আদালত। তবে সেই আদেশ আমলেই নেয়নি নেতানিয়াহু প্রশাসন।