গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার

হামাসের সাথে যুদ্ধে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানির সংখ্যা ৩ হাজারে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় প্রায় ৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় আহত হয়েছেন আরও সাড়ে ১২ হাজারের বেশি মানুষ।

পৃথকভাবে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় ৬১ জন নিহত ও ১ হাজার ২৫০ জন আহত হয়েছেন বলে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে। গাজার কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের এক তৃতীয়াংশই শিশু। আর হামাসের হামলায় ইসরায়েলিদের নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে।

ইসরায়েলের টানা বিমান হামলায় গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানকার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, গাজায় ধ্বংসস্তূপের নিচে প্রায় ১ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি আটকা পড়েছেন। তাদের মধ্যে শিশু রয়েছে প্রায় ৫০০ জন। ধ্বংসস্তূপে আটকা ফিলিস্তিনিদের এই সংখ্যা ফোনকলের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজার কর্মকর্তারা।

গাজার সবচেয়ে বড় চিকিৎসা কেন্দ্র শিফা হাসপাতালের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবু সেলমিয়া বলেছেন, ‘চিকিৎসকরা বারবার বলেছেন তারা মানুষের আর্তনাদ শুনছেন, কিন্তু কিছু করতে পারছেন না।

ইসরায়েলের সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ ও টানা বিমান হামলার কারণে গাজায় ভয়াবহ চিকিৎসা সংকট তৈরি হয়েছে। উপত্যকার অনেক হাসপাতালে ওষুধ, পানি ও অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জামের মজুত ফুরিয়ে গেছে। গাজার একটি হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, তারা প্রত্যেক রোগীর জন্য দৈনিক ৩০০ মিলিমিটার পানি সরবরাহ করছেন।

গাজায় জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করা না গেলে সেখানে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মঙ্গলবার সংস্থাটি ত্রাণ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের চালান জরুরি ভিত্তিতে সেখানে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রবেশাধিকার চেয়েছে।

সূত্র: আলজাজিরা, এপি, সিএনএন।