ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় রয়েছে খাল-বিলসহ অনেক জলাশয়। এসব খাল-বিলে প্রচুর পরিমাণ কচুরিপানা জন্মায়— যা পরিণত হয়েছে মশার অভয়ারণ্যে। এসব মশা মারার জন্য যে ম্যালেরিয়া অয়েল বি ব্যবহার করা হয় তা কচুরিপানার কারণে মশার আঁতুড়ঘরে পৌঁছাতে পারছে না। ফলে দমন হয় না মশা। আর তাই জলাশয়গুলো পরিষ্কার করার জন্য কেনা হয়েছে নৌকা। কচুরিপানা বিনাশে ব্যবহার করা হচ্ছে হার্বিসাইড কীটনাশক।
উত্তর সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ঢাকা উত্তর সিটির অধীনে প্রচুর খাল, কিছু পরিত্যক্ত ফাঁকা জায়গা ও জলাশয় আছে— যেগুলোতে প্রচুর কচুরিপানা জন্মে, যা মশকনিধন কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। আমরা এগুলো পরিষ্কার করি, আবার জন্মায়। এগুলোর নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমের জন্য আমরা ৩০টি নৌকা কিনেছি। আমাদের দশটি অঞ্চলের প্রত্যেকটির জন্য তিনটি করে নৌকা বিতরণ করা হয়েছে।’
তিনি জানান, এ নৌকাগুলো ফাইবার গ্লাসের তৈরি এবং প্রতিটি নৌকা কিনতে ১৮ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক জায়গা আছে— পানি কম। সেখানে নৌকাও যায় না। ওইসব জায়গায় আমরা হার্বিসাইড নামে এক ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করি। দশ লিটার পানিতে ১২-২০ মিলিলিটার হার্বিসাইড মিশিয়ে স্প্রে’র সাহায্যে ছিটিয়ে দিলে কচুরিপানা মরে যায়।আমাদের মোট জলাশয়ের প্রায় ২০ শতাংশ জায়গায় এ কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে। এতে করে কিছুটা হলেও মশক দমন কাজে সফল হওয়া যাচ্ছে।’
তিনি জানান, এ কীটনাশক বাড্ডা খাল, সাঁতারকুল খাল ও বসিলার রামচন্দ্রপুর খালে প্রয়োগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মিরপুর-১০ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফিরোজ আলম বলেন, ‘আমাদের কার্যালয়ের তিনটি নৌকা বরাদ্দ পেয়েছি। এটা পাওয়ার পর হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পুকুরে ব্যবহার করেছি। আরেকটি পাইকপাড়া স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার জলাশয়ে ব্যবহার করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা হার্বিসাইড ব্যবহার করেছি। এটা একবার ব্যবহার করলে তিন-চার দিন পরে কচুরিপানা মরে যায়। পরবর্তীবার ব্যবহার করলে এগুলো পুরোপুরি মরে ডুবে যায়।’