মযাচের ৩১তম মিনিটে আর্জেন্টিনার সবচেয়ে ভালো সুযোগটি পেয়েছিলেন পেরেস। ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে জালে পাঠাতে পারেননি এই মিডফিল্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে গোল রক্ষক কাবাইরোর ভুলে পিছিয়ে পড়ে আর্জেন্টিনা। গ্যাব্রিয়েল মের্কাদোর ব্যাকপাস ক্লিয়ার করতে গিয়ে দিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ান ফরওয়ার্ড রেবিচের কাছে। নিখুঁত ভলিতে কাবাইরোর মাথার উপর দিয়ে বল জালে পাঠালেন এই ফরোয়ার্ড।
এরপর প্রানপণ চেষ্টা করেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি আর্জেন্টিনা। ৬৪তম মিনিটে গনসালো হিগুয়াইনের কাটব্যাকে মাক্সিমিলিয়ানো মেসার শট ঠেকিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক দানিয়েল সুবাসিচ।
৮০ তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো শটে ক্রসবার ঘেঁষে বল জালে পাঠান ক্রোয়েশিয়া অধিনায়ক মদ্রিচ। ব্যবধান দাঁড়ায় ২-০।
ম্যাচে ফিরতে মরিয়া আর্জেন্টিনা তখন একেবারেই ভেঙে পড়েছে। হতাশায় ডুবে গেছেন দর্শকরাও।
ছয় মিনিট পর ইভান রাকিতিচের ফ্রি-কিকে বল ক্রসবারে লেগে ফিরলে ব্যবধান বাড়েনি। কিন্তু ইনজুরি টাইমের ২য় মিনিটে আর ভুল করেন নি। আর্জেন্টিনার গোলরক্ষকের ঠেকানো বল পেয়ে যান মাতেও কোভাচিচ। তার কাছ থেকে রাকিতিচ যখন বল পান সামনে কেবল মার্কোস আকুনা। গোলের অমন সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেন নি বার্সেলোনায় মেসির সতীর্থ এই মিডফিল্ডার। সোজা বল পাঠিয়ে দেন জালে। ক্রোয়েশিয়া পায় তৃতীয় গোল আর মেসি বাহিনী ৩-০ স্কোরলাইনের লজ্জা।
আর্জেন্টাইন গ্যালারি স্তব্ধ করে দিয়ে আনন্দে ভাসে ক্রোয়েশিয়ান শিবির।