কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে সভা

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুল্লুক হোসেন ও উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সফর আলী সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে প্রতিবাদ সভা করেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী।

সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল ১১টায় উপজেলার ঢালারপাড় চকবাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ফকিরের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আলীমের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মন্নান।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ইদ্রিস আলী, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি সফর আলী, পূব ইসলামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি আরিফুল ইসলাম সেন্টু ও করম আলী, পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি তেরা মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম প্রমূখ।

সভায় বক্তব্যরা আওয়ামীলীগ সভাপতি মুল্লুক হোসেনের উপর মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, লিজ বহির্ভূত ঢালারপাড়, দক্ষিণ ঢালারপাড়, মোস্তফানগর সহ কয়েকটি গ্রাম ও বিভিন্ন স্থাপনাকে হুমকিতে ফেলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করার দাবী করে মুল্লুক হোসেন এলাকাবাসীর জন্য কাজ করতে গিয়ে যড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। মুল্লুক হোসেন আওয়ামী লীগের দুর্দিনে দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছে্। মুল্লুক হোসেনের উপর থেকে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি করেন বক্তারা।

তারা আরও বলেন মুল্লুক হোসেন পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত ভাবে পরিচালিত করছে। তার দ্বারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ কোন দিন হয়রানির শিকার হয়নি। কিন্তু আজ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার পরেও তিনি মিথ্যা মামলার আসামী হয়ে হয়রানি শিকার হচ্ছে। তা আমরা মানতে পারি না। তার উপরে যে মিথ্যা মামলা হয়েছে সেই মামলা থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারকে ‘অবৈধ সরকার’ আখ্যা দিয়ে একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন মুল্লুক হোসেন। এরপর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একাংশ তার বিরুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিঁড়ে অন্যদের ফাঁসানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।